হৃদয় ইসলাম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এসএসসি কেন্দ্র সমুহে বহিরাগত শিক্ষকরা অবাধে চলাচল করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে সুনাম বৃদ্ধি, জিপিএ৫ ও ফলাফল ভালো দেখাতে শিক্ষার্থীদের আইসিকিউ ও গ্রামার শিখিয়ে দিতে এ ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। তবে বিষয়টি যাতে প্রকাশ না হয় সেজন্য কেন্দ্রে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশে অঘোষিত বিধিনিষেধ রয়েছে। গতকাল বুধবার শমশেরনগর এর দু’টি কেন্দ্র ঘুরে এচিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় কমলগঞ্জ উপজেলা সদর, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ও আদমপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের এক একজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বিদ্যালয় সমুহে ফলাফল ভালো ও জিপিএ-৫ বাড়ানোর জন্য কিছু কিছু কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল পেতে কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। শমশেরনগরে হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দু’টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পার্শ্ববর্তী এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে।
অপরদিকে এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাই স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর তাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ও হল সমুহে অবাধে প্রবেশ করছেন।
সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষার দিনে হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রতিনিধিসহ দুইজন গণমাধ্যম কর্মী প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ সাংবাদিক প্রবেশে বাধা আছে বলে জানায়। পরে বাঁধা প্রত্যাহার করলে ভেতরে যাওয়ার পর এএটিএম বিদ্যালয়ের বাপ্পী নামের একজন শিক্ষককে হলরুমে সামনে দেখা যায়।
বেলা পৌণে ১২টায় এএটিএম বিদ্যালয়ে গেলেও দায়িত্বরত পুলিশ সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরও কেন্দ্রে যাওয়ার আপত্তি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, এই দুই প্রতিষ্ঠানে ফলাফল ভালো করানোর জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পূর্ব থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইংরেজী ও গণিত বিষয়ে পরীক্ষা শুরু হলে এএটিএম স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক হাজী মো: উস্তওয়ারে ও হাজী মো: উস্তওয়ারের কয়েকজন শিক্ষক এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন। পরে প্রতিটি কক্ষে গিয়ে তারা তাদের ছাত্রদের আইসিকিউ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসেন। ইতিপূর্বেও এই দু’টি কেন্দ্রে এভাবে অনিয়ম হয়েছে বলে শিক্ষকরা দাবি করেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, উপজেলায় একটি সভা থাকায় আমি ব্যস্ত ছিলাম। তবে এধরণের খবর পেয়ে সাথে সাথে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তবে আগামী পরীক্ষায় নিজে তদারকি করবেন বলে জানান।
সম্পাদনায়: তিমির চক্রবর্ত্তী
আপনার মতামত লিখুন :