সুজন কৈরী : টকশোর মন্তব্য নিয়ে তিন নারীকে হুমকিসহ ফেসবুকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগে একজনকে আটক করার খবর একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হলেও তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পুলিশের ধানমন্ডি জোনের এডিসি আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। সেই সূত্রে ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি হেফাজতেও নেয়া হয়নি।
এছাড়া হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়াও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ‘উগ্রবাদ ও জেন্ডার সমতা’ নিয়ে ডিবিসি নিউজে নারীদের অধিকার ও সমসাময়িক নারী উন্নয়নমূলক আলোচনা অনুষ্ঠান ‘অন্যপক্ষ’ অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক ইশরাত জাহান উর্মির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আরিফা রহমান রুমা।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বলেন, ‘সেদিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘উগ্রবাদ ও নারীবাদ’। সমাজে নারীরা নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে এই প্রতিবন্ধকতা বেশি সৃষ্টি করা হয়। ওয়াজ মাহফিলে নারীর বিরুদ্ধে অকথ্য কথাবার্তা আসে। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে এসব কথা বলা হয়। এ বিষয়টি আমাদের তিন জনের আলোচনায় এসেছে। অনুষ্ঠান প্রচারের দুই-তিন পর বিভিন্ন পেজ থেকে বাজে মন্তব্য আসা শুরু হয়।’
টকশো অনুষ্ঠানের প্রমোশনাল অংশ ডিবিসির ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছিল। তবে সেটি কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে সরিয়ে নিয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি রাতে ড. তুহিন মালিক টকশোর লিংক শেয়ার করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। তিনি তিন নারীকে গণধোলাই দেয়ার কথা বলেন। এছাড়াও বাঁশেরকেল্লাসহ বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজেও এই লিংক শেয়ার করে তিন নারীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও হুমকি দেয়া হয়।
এরপর ২৯ জানুয়ারি হাজারীবাগ থানায় জিডি করেন আরিফা রহমান রুমা। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সাংবাদিক ইশরাত জাহান উর্মির সঞ্চালনায় ডিবিসি নিউজের টকশোতে আমি এবং মুক্তিযোদ্ধা ও নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির অংশ নেই। কথা প্রসঙ্গে তারেক মনোয়ারের বিভিন্ন মিথ্যাচারের সম্পর্কে কথা বলি। কোনো কোনো মাহফিলে কেউ কেউ নারীদের কট‚ক্তি করে বলেও উল্লেখ করি। এরপরই জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ফেসবুক পেজ বাঁশেরকেল্লা ও জামায়াত নেতা ড. তুহিন মালিক তার ফেসবুক পেজে আমাদের তিন জনকে গণধোলাই দেয়ার আহ্বান জানায়। কেউ কেউ ফাঁসির দাবি করে। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আপনার মতামত লিখুন :