দিরাই প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ (২) দিরাই -শাল্লার সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা বলেছেন, হাওরপাড়ের রাজনীতির বটবৃক্ষ প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আজীবন দিরাই শাল্লার শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ সহ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন।
তিনি আমাদের যে সম্প্রীতি ও উন্নয়নের রাজনীতি শিখিয়ে গেছেন তার পথ ধরে আমরা রাজনীতি করে যাব, তার স্মৃতি ধরে রাখতে আজীবন কাজ করে যাব । বুধবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজ দৌলা, এডভোকেট সোহেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওর মিয়া, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়, দিরাই উপজেলা পরিষদের প্যানল চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী, শিবলী আহমেদ বেগ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ রায় বিশ্ব সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সকালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এছাড়া মঙ্গলবার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
প্রসঙ্গত বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য দীর্ঘ ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ৮ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরমধ্যে শুধুমাত্র সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) থেকে ৭ বার ও হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) থেকে ১ বার সংসদ সদস্য হন।
এক সময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শরীরে বাসা বাঁধে ফুসফুসে ক্যান্সার। ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রয়ারি শুক্রবার ফুসফুসের সমস্যার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
এরপর ৪ ফেব্রয়ারি ২০১৭ সালে সুরঞ্জিতের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে প্রথমে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়। পরে ৭১ বছর বয়সী সুরঞ্জিতকে রাতেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত ৪টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে বাংলাদেশের সংবিধান কমিটির অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত চলে যান না ফেরার দেশে। সম্পদনায়: তিমির চক্রবর্ত্তী