কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় মারুফা আক্তার হত্যা মামলায় বাচ্চু মিয়া নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাচ্চু মিয়া তাড়াইল উপজেলার রতনপুর গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি বাচ্চু মিয়ার বোন হিমা আক্তার ও ভাই রতন মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার রতনপুর গ্রামে ২০১৩ সালের ১০ মে বিকেলে মাটির চুলার ওপর লাকড়ি শুকানোকে কেন্দ্র করে বাচ্চু মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুর রাশিদের মেয়ে সরুফা ওরফে মারুফা খাতুন ও তার পরিবারের লোকজনদের কথা কাটাকাটি হয়।
ওই রাতে আব্দুর রাশিদ কাটা ধান পাহারা দেওয়ার জন্য হাওরে চলে যান। পরদিন ভোরে তার স্ত্রীর মাধ্যমে খবর পান যে, তার মেয়ে মারুফা আক্তারের গলাকাটা মরদেহ গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় বাড়ির পাশের একটি পতিত জমিতে পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নিহত মারুফা আক্তারের বাবা আব্দুর রাশিদ বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়া মোহাম্মদ ফেরদৌস। সম্পাদনা: জেরিন