সুজন কৈরী : চট্টগ্রাম বিভাগ কেন্দ্রিক এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর একটি দায়ের হয় গত বছরের মে মাসে ও অপরটি দায়ের হয় জুলাইয়ে। মামলাগুলো তদন্তকালে বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্তার তথ্য পেলেও তদন্তের স্বার্থে কারো নাম প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
অনুসন্ধানে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ৫ থেকে ৬টি মামলার তথ্য দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কৌশলের বিষয়ে ধারণা দিতে দুই ভাগে অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর থেকে উপ পরিচালক পর্যায়ের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজনের প্রশিক্ষণ চলছে।
অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা অঞ্চলের পরিচালক ও মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের হওয়া মামলার তদারকি কর্মকর্তা মো. আহসানুর রহমান বলেন, মাদকের মামলা তদন্তকালে অর্থ পাচারের বিষয় পাওয়ায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা তদন্তাধীন। এছাড়া আরো কয়েকটির অনুসন্ধান চলছে। এতে অর্থ পাচারের মতো বিষয় পেলে আরো মামলা দায়ের করা হবে। তিনি আরও বলেন, মানিলন্ডারিং আইনের বিষয়ে জানাতে ও তদন্তের কৌশল সম্পর্কে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সিআইডি, দুদক ও এনবিআরের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
আইন পাশ হওয়ার সাত বছর পর ও সংশোধিত আকারে কার্যকর হওয়ার প্রায় চার বছর পর গত বছরের জানুয়ারির শেষে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর বিধিমালা প্রণয়ন হয়। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ নামে অভিহিত।