শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের মেঘালয় থেকে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ফিরছেন দেশি শ্রমিকরা

মাজহারুল ইসলাম : ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কাজের খোঁজে নিয়মিত যাতায়াত করেন সীমান্তবর্তী নেত্রকোনা জেলার শ্রমিকরা। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের ওই পাহাড়ি এলাকায় কাজ করার পর দেশের শ্রমিকের একটা বড় অংশ দেশে ফিরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু নিয়ে। আর তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর মধ্যে নেত্রকোনায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে ব্র্যাকের পর্যবেক্ষণ বলছে, নেত্রকোনা জেলায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ওই অঞ্চলের মোট রোগীর অর্ধেক। বণিকবার্তা

ব্র্যাকের তথ্যানুযায়ী, ওই জেলার ৭ শতাংশ মানুষ ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের ফলাফল বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি বলছে, ভারতের মেঘালয় থেকে ফিরে আসা মানুষদের মধ্যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিলো। এদের ৯৩ শতাংশই পেশায় শ্রমিক। মূলত ভারতের মেঘালয়ের কয়লা ও পাথর খনিতে কাজ করতে গিয়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন তারা।

তবে এ জেলার ম্যালেরিয়া রোগীদের সবাই যে মেঘালয় থেকে আক্রান্ত হয়ে দেশে এসেছেন তা নয়। স্থানীয় দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি জনপদের মশার কামড়েও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। আক্রান্তদের মধ্যে শ্রমিকের পাশাপাশি কৃষক, গৃহিণী ও শিক্ষার্থীও রয়েছেন।

ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে ব্র্যাকের পর্যবেক্ষণকারী কর্মকর্তা শামসুন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, ওখানকার শ্রমিকদের মেঘালয়ে যাওয়াআসা থেকেই এই রোগটির সংক্রমণ হয়ে থাকে। যা পরবর্তী সময়ে দেশে আসার পর ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, সরকারি ও বেসরকারিভাবে স্থানীয় লোকদের সচেতন করার পর মেঘালয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের যাতায়াত কমলেও তা পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। অঞ্চলটি দুর্গম হওয়ায় সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।
তবে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে জানান, আপাতত ম্যালেরিয়া নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। কিছুদিন আগে একজন রোগী মারা গেলেও বড় আকারে এটা ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।
৭১৩ জনের ওপর চালানো ব্র্যাকের এ পর্যবেক্ষণ বলছে, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী আক্রান্ত রোগীদের ৮২ শতাংশই মেঘালয় থেকে ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু নিয়ে আসেন। এছাড়া ৫০ বছরের বেশি বয়সী ১১ শতাংশ, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ৬ শতাংশ এবং ৫ থেকে কম বয়সী ১ শতাংশ রোগী ভারত থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফেরে। আর ভারতে গিয়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ। ব্র্যাকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৩ সালে নেত্রকোনায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১৪৪ জন। এরমধ্যে ৬০ শতাংশই ভারতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৪ সালে ১৮২ রোগীর মধ্যে ১৪৯ জনই ভারতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৫ সালে রোগীর সংখ্যা নেমে ১৩৯ জন হলেও ওই বছর আক্রান্তদের ৮৭ শতাংশই ছিলেন ভারত ফেরত। এরপর ২০১৬, ২০১৭ ও ১০১৮ সালে ভারত থেকে আক্রান্ত হওয়া রোগীর হার যথাক্রমে ৯১, ৭১ ও ৯৫ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়