শিমুল মাহমুদ: নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল কনসুলারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে নিজের মতামত দেন বিএনপি এ প্রার্থী। গুলশান-২ বে টাওয়ারে বেলা ১২টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে ১২টা ৩৫ মিনিটে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইশরাক হোসেন জানান, তার কাছে জানতে চেয়েছেন কিছুদিন আগে গোপীবাগে যে সংঘাত হয়েছিলো সে বিষয়ে। তিনি এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। এছাড়া আগামীকাল কি কি শঙ্কা আমাদের রয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি ইভিএম নিয়ে বলেছি এবং ঢাকার বাহির থেকে লোকজন আনা হয়েছে, কেন্দ্র দখলের পায়তারা হচ্ছে এ বিষয়ে।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কিনা এবং পরাষ্টমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না এ বিষয়ে আমি বলতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের এ সাক্ষাৎটি ছিলো পূর্ব নিধারিত সৌজন্য সাক্ষাৎ।
ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা আগামীকাল বুঝতে পারবো। আপনারা দেখেছেন, গত ১৫ সালের নির্বাচনে ভোর ৪ টা থেকেই কেন্দ্র দখল করে সীল মারা শুরু হয়েছিলো। জনগণের মনে প্রশ্ন এবার কিভাবে চুরি করবে এবার তো ইভিএম। বলা হচ্ছে, ৮টার আগে তো মেশিন ওপেন হবে না। তবে আমার কিছু ভেতরের খবর জানতে পারছি, ৮ টার আগেও মেশিন ওপেন করা সম্ভব। এখন রাত পোহারে দেখতে পারবো।
সবমিলিয়ে কাল দিনটা কেমন যাবে বলে মনে করছেন? কালকের দিনটা কেমন যাবে সেটা মহান আল্লাহতাহালা বলতে পারবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলি, সরকার দলীয়দের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হতে পারে। বিভিন্ন জড়িপে আমরা দেখেছি ধানের শীষ ৮০ পারসেন্টের উপরে এগিয়ে আছে। অনেক জায়গায় অবশ্যই এ জড়িপ গুলো তুলে দেওয়া হয়েছে। হয়তো এগুলো দেখে তারা চেষ্টা করবে জোর জবরদস্তি করে কেন্দ্র দখল করার। আমি বলতে চাই, এবার কিন্তু কোনো দখল দারিত্ব মানবো না।
সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রফতার অভিযান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। প্রতিদিনই আমরা অভিযোগ করেছি। তবে অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই এ জায়গায় সময় ব্যায় করতে চাচ্ছি না। আমরা আপাদত আমাদের পোলিং এজেন্ট যারা রয়েছেন তাদের কেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করা এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্র যাওয়া নিশ্চিত করার বিষয়ে কাজ করছি।
ইশরাক আরো বলেন, আমাদের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে কিভাবে কলঙ্কিত করা যায় সেটা তারা করছে। আমি মনে করি, এগুলো করে কোনো লাভ নাই। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। এখন আগামী কাল তাদের রায় দিতে পারবে কিনা সেটা দেখার বিষয়। জনগণের রায় প্রদানের জন্য যা যা করনীয় তা আমরা করবো। আমরা কেন্দ্র পাহারা দিবো এবং দখল মুক্ত করবো। দখল মুক্ত করে ভোটারদের ভোট দিতে সহায়তা করবো।
কত গুলো কেন্দ্র ঝুকিপূর্ন বলে আপনি মনে করছেন, প্রায় সাড়ে ৩ শ থেকে ৪’ শর মতো কেন্দ্র্র রয়েছে আমাদের কাছে মনে এগুলো ঝুকিপূর্ণ।