শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৩৫ সকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপি-জামায়াতিরা কি ভোট দিতে যাবে?

সুলতান মির্জা : আমি ঢাকার ভোটার নই। এমনকি ঢাকায় একটা ভোটও আমার কথায় এদিক সেদিক কেউ দেবেও না। কাজেই নির্বাচন নিয়ে আমার আগ্রহ থাকলেও ক্যাম্পেইনে আগ্রহ তেমন একটা ছিলো না। আমাদের উত্তরার ব্যাপারে খোঁজ নিলাম, উত্তরাতে ১০-১৫ লাখের বেশি লোকের বসবাস হলেও সিটিতে ভোট দেবে এমন ভোটারের সংখ্যা মাত্র ৬০-৭০ হাজার হবে। হিসাবটা এ জন্য দিলাম যে, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে অনেকের অনেক অভিযোগ আছে। এর মধ্যে রিজভী ও রিজভীর বাচ্চাদের মুখস্থ অভিযোগ দারুণ, মিড নাইট ইলেকশন... তাও এমনভাবেই তারা বলে যে মনে হয় তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলো, গিয়ে দেখে ভোট নেই এমন হলেও মেনে নেওয়া যেতো ভোটে প্রচুর কারচুপি হয়েছে। বাস্তবতা হলো বিএনপি-জামায়াতের তারা হয় বিদেশে কামলা দিচ্ছে না হয় দেশে ১০-১৫টা মামলার আসামি পুলিশের সামনে গেলেই পুলিশ অ্যারেস্ট করতে পারে, তারা ভোট কেন্দ্রমুখী হয়নি, যখন একচেটিয়া আওয়ামী লীগ আর নৌকা ছাড়া কিছুই নেই তখন তারা বলা শুরু করে দিলো মিড নাইট ইলেকশন।

অথচ ৩০ ডিসেম্বরের আগে তাদের কী হুমকি, কুদনপাদনে টিভির পর্দা, পত্রিকার পাতা ছিঁড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিলো। নির্বাচনের দিন যখন নিশ্চিত হয়ে গেলো লক্ষণ ভালো নয়, রিজভী বলে দিলো মিড নাইট ইলেকশন। ব্যাস। এবারের সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য খুব বেশি গুরুত্বের এমনটা চিন্তা করা ঠিক নয়। নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতোই। ভোটকেন্দ্রে সবাই যাবে, ভোট দেবে এমনটাই প্রত্যাশা। নির্বাচনের রেজাল্ট জয়-পরাজয় আছেই। যা হবে সেটা পরের বিষয়। কিন্তু ভাবছি অন্য কথা। বিএনপি-জামায়াতিরা কী ভোট দিতে যাবে? সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াতি ক্যাডার যারা ঢাকায় জমা হয়েছে নির্বাচনের জন্য, তারা কী নির্বাচনের দিন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ রাখবে নাকি দলবাজি করতে গিয়ে যা খুশি তা করবে? আর এ সব যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যদি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তখন বিএনপি-জামায়াতিরা আবার বলবে না তো নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি... আগেই বলেছি ঢাকার উত্তরার ভোটার ৬০-৭০ হাজার, লোকজনের বসবাস ১০-১৫ লাখ বা তার বেশি। কাজেই বিএনপি-জামায়াতিদের উচিত সব প্রকার দুই নম্বরি প্ল্যানিং বাদ দিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়া। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া। এবারে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে অথবা না দিয়ে ভোটের রেজাল্টের পরে যদি তাদের প্রার্থীর পরাজয় হয়, তাহলে দোষারোপ করা যাবে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়