সুজন কৈরী : রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুলিবর্ষণের ঘটনায় অস্ত্রগুলিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (পূর্ব) বিভাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন আরিফুল ইসলাম (৪৭)।
বুধবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ১টি পয়েন্ট ২২ বোরের বিদেশি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, গ্রেপ্তার আরিফুল ছাত্রদলের সাবেক নেতা। আমরা জানতে পেরেছি তিনি বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে পরিচয় দিতেন।
ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনাকালে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়ারী থানায় মামলা হয়। যা থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও ছায়া তদন্ত শুরু করে। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত অপরাধ সংঘটনকালে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার একপর্যায়ে গুলিবর্ষণকারী অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করতে ভিডিও ফুটেজ থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তির স্থির চিত্র সংগ্রহ করা হয়। তার মুখমন্ডল, পরনে জামা-কাপড়, জুতা, হেলমেট ইত্যাদি বার বার পর্যবেক্ষণ করা হয়। গুলিবর্ষণের আগে ধারণকৃত স্থিরচিত্রের সঙ্গে হেলমেটবিহীন একই ছবি দেখতে পেয়ে দুটি দৃশ্যের স্থিরচিত্র পাশাপাশি নিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যালোচনার পর গ্রেপ্তার আরিফুলকে সনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
আগ্নেয়াস্ত্রটি বৈধ কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, বিষয়টি এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে বৈধ অস্ত্রও এভাবে প্রদর্শন করা যায় না এবং গুলি করা যায় না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের ধরতে আলাদা কোনো অভিযান হচ্ছে না। তবে নির্বাচন হোক বা না হোক, সন্ত্রাসী হলে পুলিশ সব সময় ধরবে। টেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি আরিফুলই সেই ব্যক্তি। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত গুলির খোসার সঙ্গে জব্দকৃত গুলির মিল রয়েছে।