ইয়াসিন আরাফাত : বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পায়নি এই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ফিলিস্তিন। তবে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের তিন মুসলিম দেশ ওমান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আমিরাতের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেছেন, দেশ তিনটি তার পরিকল্পনা সমর্থন করছে। এজন্য তিনি দেশগুলোকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মিডল ইস্ট আই
এর আগে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরে ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনও শান্তি আলোচনায় মার্কিন মধ্যস্ততা মানবে না বলে ঘোষণা দেয় ফিলিস্তিনিরা। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বরাবরই ইসরায়েল পক্ষে।
যদিও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শুরু থেকেই ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার প্রতিটি চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ট্রাম্প তাকে শান্তির পথ বেছে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই পথে সবগুলো পদক্ষেপে ফিলিস্তিনকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিশ্চিত করেছেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার আওতায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা ইসরায়েলে নিজেদের ভূখণ্ডে ফেরার অধিকার পাবে না। একই সঙ্গে জর্ডান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়া হয়েছে।
এর ফলে ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজায় স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার ফিলিস্তিনিদের আশা গুঁড়িয়ে দেবে। তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিদেরকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর ফিলিস্তিনিদেরকে ছাড়া কোনও শান্তি পরিকল্পনাই ফলপ্রসূ হতে পারে না।