ইত্তেফাক : নিষিদ্ধ নয় বরং সীমিত পরিসরে হুয়াওয়েকে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধের জন্য কয়েকজন কনজারভেটিভ এমপি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাপকে পাশ কাটিয়ে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিলো বরিস জনসনের সরকার। খবর বিবিসি’র
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোন সংবেদনশীল কিট যুক্তরাজ্যে ব্যবহার করতে পারবে না হুয়াওয়ে। তবে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩৫ শতাংশ কিট যেমন- ‘রেডিও মাস্ট’ ব্যবহার করতে পারবে। তাছাড়া যুক্তরাজ্যের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক সাইট অবস্থিত অঞ্চলে তাদের নেটওয়ার্ক পরিচালনার করতে পারবে না চীনা কোম্পানিটি।
২০১৯ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে হুয়াওয়ের ফাইভজি প্রযুক্তিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ঝুঁকির উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র দেশগুলোকে হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তি থেকে দূরে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের হুমকি দেয়, কেউ হুয়াওয়ের সঙ্গে ফাইভজি অবকাঠামো স্থাপনের চুক্তি করে তাহলে তাদের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের সম্পর্ক সীমিত করে ফেলবে তারা। যদিও যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে তারা এসব হুমকি ধমকির বিষয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়।
যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টসের একজন মুখপাত্র জানান, যুক্তরাজ্যের টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক সভায় হুয়াওয়েকে সীমিত পরিসরে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পরিচালনার সিদ্ধান্ত এলো।
যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্তের পর একে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছেন রিপাবলিকান এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভের প্রাক্তন স্পিকার নিউট গিংরিচ। এক টুইট বার্তায় তিনি একে যুক্তরাজ্যের ‘কৌশলগত পরাজয়’ বলেও উল্লেখ করেন।