শোয়েব সর্বনাম : বাংলাদেশের প্রবাসীদের মধ্যে ভাত পলেটিক্স বলে একটা বিষয় আছে, কেউ কেউ বলে দাওয়াত পলিটিক্স। কে কাকে দাওয়াত দেবে, কাকে দেবে না, এসব। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দাওয়াত। সম্পর্কের অবনতির জন্য তা দেখাতে দাওয়াত। কতো কী। সে রকম আরেক পলিটিক্স হলো সাংস্কৃতিক পলিটিক্স।
সংস্কৃতির মেধাহীন লোকগুলো হয়তো প্রবাস জীবনের স্বছন্দ্য আর বিত্তের সুবাদে নানা শিল্পীদের সঙ্গ পায়। আর শিল্পীরাও মাঝে মাঝে সেই লোভে হারিয়ে যান। কিন্তু কেউ কেউ ভুলে যায় তারা আসলে কী। আমি একদিন এক আসরে বললাম, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী একজন উপমহাদেশের অন্যতম শিল্পী। একথা শোনে যেমন একদিন একজন বলেছিলেন, আরে রাখেন, নিয়াজ মোহাম্মদ তো আমার বাসার বেজমেন্টে এসে থেকেছেন, ঘুমাতেন।
এই ভদ্রলোক একজন ডাক্তার। বেশ পয়সাওয়ালা। আমি বলেছিলাম, তাই? তিনি যেখানে ঘুমাতেন সেখানে কী বাথরুম ছিলো? তিনি উৎসাহে বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ, নতুন বানানো বেজমেন্ট ঘর, বাথরুম। আমি বলেছিলাম, তাহলে সেই কমোডটা সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখেন। কোনোদিন বলতে পারবেন নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী আপনার বাসার বাথরুমে ... ছিলেন। ভদ্রলোক বাকরুদ্ধ। এরপর থেকে তার বাসায় আর দাওয়াত পাইনি। এই হলো ভাত আর দাওয়াত পলিটিক্স। সেজান মোহাম্মদের লেখা কমোড কাহিনি দেখে আমার একটা গল্প মনে পড়লো। তখন আমার আর্কি বন্ধুদের লগে খুব ঘনিষ্ঠতা। একজন সেলিব্রেটি আর্কিটেক্টের সঙ্গে সকাল-বিকাল এক টেবিলে বসে চা খাই। একজন প্রায়সাহিত্যিক নারী ইনবক্স করলেন, অল্প কিছুদিন আগেই সেই সেলিব্রেটি আর্কিটেক্ট নাকি তাদের কমোড ঠিক করে দিয়ে গেছেন। এরপর থেকে কমোড ব্যাপারটার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট আমি তার নামে দিয়ে দিচ্ছি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :