শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৩ সকাল
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একসময় কুমিল্লা পড়ালেখায় এক নম্বর ছিল, বলেছেন রাষ্ট্রপতি

চ্যানেল আই অনলাই : মাদক রুখতে ছাত্রসমাজকে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, একসময় কুমিল্লা পড়ালেখায় পুরো দেশে এক নম্বর ছিল। এখন অবাধে মাদক সেবন চলে। মাদক প্রবেশের যত রাস্তা আছে, তার মধ্যে কুমিল্লা অন্যতম।

সোমবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি কুমিল্লার সবাইকে বলতে চাই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের বড় অবদান ছিল। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন নতুন করে আবার সংগ্রাম করতে হবে। নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য বিনিত আহ্বান জানাচ্ছি।’

সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমরা আজ দেশের উচ্চতর মানবসম্পদ। দেশের ভবিষ্যত উন্নয়ন ও অগ্রগতি নির্ভর করছে তোমাদের উপর। তোমাদের তারুণ্য জ্ঞান মেধা ও প্রজ্ঞা হবে দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে একজন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে সবসময় সত্য ও ন্যায়কে সমুন্নত রাখবে। নৈতিকতা ও দৃঢ়তা দিয়ে দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। রাষ্ট্রের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে তোমাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা, তোমরা কখনো অর্জিত ডিগ্রির মর্যাদা, ব্যক্তিগত সম্মানবোধ ও নৈতিকতাকে ভূলুন্ঠিত করবে না।’

‘‘শিক্ষার সাথে মানবিক মূল্যবোধ পৃথিবীকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে, মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে আমরা যেন বিশেষভাবে সচেতন থাকি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞ্যানচর্চা, মুক্তচিন্তা ও মাননিক মূল্যবোধের পীঠস্থান হিসেবে সমুন্নত রাখি।’’

তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আধুনিক ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। তরুণ সমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে আনুপাতিক হারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই। সে বিবেচনায় সরকার প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে দেশের সকল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা মানববিদ্যা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে ও আগামীতে পাবে।’

সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। নিশ্চয়ই শিক্ষা মানুষের চেতনার ও নৈতিকতার বিকাশ ঘটায়। মুক্তচিন্তা ও মননের বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা মানুষকে করে তোলে উন্নত জ্ঞানের অধিকারী। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ হলো শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা ও প্রচ্ছন্ন শক্তি, লুকায়িত সামর্থ্য ও যোগ্যতার প্রসার ঘটিয়ে মানবসম্পদে পরিণত করা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেরকম করে গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

সমাবর্তন বক্তা সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা এ দেশ পেয়েছি। আর তাই সকলকে সবসময় তাকে মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী অনেক টাকার বাজেট দিয়েছে। ভবিষ্যতে এখানে আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ইংল্যান্ডের তুলনায় বাংলাদেশের ইন্টারনেট সংযোগ অনেক ভালো। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, উচ্চশিক্ষার যথাযথ ও যুগোপযোগী উৎকর্ষ সাধন ও তার প্রায়োগিক ক্ষেত্র তৈরী করতে পারলেই শিক্ষা মানুষের কাছে অধিকতর প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। শিক্ষাই মানুষের চৈতন্যের বিকাশ ঘটায়। আমি বিশ্বাস করি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাকে মেধা, প্রজ্ঞা ও মূল্যবোধের দ্বারা যথাযথভাবে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ ঘটিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হবে।

আরেক বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নতুন প্রজন্মকে মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহন করে আধুনিক বিশ্বের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে হবে। প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা শিক্ষার বিকাশে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছি। আমরা আশা করি, শেখ হাসিনার রুপকল্প বাস্তবায়নে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ অবদান রাখবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৩-১৪ ও স্নাতকোত্তর ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ৫৬৪৮জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়