মোজাম্মেল হোসেন তোহা : ১. জেনারেল খালিফা হাফতার ছিলেন আশির দশকে এবং আর্লি নাইন্টিজে সিআইএর লোক। সিআইএর সাহায্য নিয়ে তিনি গাদ্দাফিকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছিলেন। ২. যুদ্ধের প্রথম কয়েকমাস হাফতারের ত্রিপোলি অপারেশন রুমের পরিচালক, জেনারেল আব্দুস সালাম আল-হাসি ২০১১ সালে ছিলেন বেনগাজীতে ন্যাটোর সঙ্গে বিদ্রোহীদের প্রধান কোর্ডিনেটর। তার অফিসের ফোন থেকে তিনি সরাসরি ন্যাটো এবং আফ্রিকমের জেনারেলদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং তাদের গাদ্দাফি বাহিনীর লোকেশন দিতেন বম্বিং করার জন্য। ৩. অফিসিয়ালি জিএনএর প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান যদিও ফায়েজ আল-সাররাজ, কিন্তু বাস্তবে তিনি মিসরাতি মিলিশিয়াদের হাতে অনেকটা জিম্মি।
ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারকে এবং ইনফ্যাক্ট সাররাজকেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ফাতহি বাশাগা, সাবেক মিসরাতি মিলিশিয়া লিডার। ২০১৬ সালে সিরতে আইএস-বিরোধী যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন আফ্রিকমের সঙ্গে লিবিয়ান গ্রাউন্ড ফোর্সের প্রধান কোর্ডিনেটর। নিচে থেকে তিনিই আইএসের লোকেশনগুলো আমেরিকাকে দিতেন এবং আমেরিকা সে সব লোকেশনে বম্বিং করতো। আমেরিকানদের একটা টিম এখনো ওয়ার অন টেররের অংশ হিসেবে মিসরাতায় আছে। ৪. তুরস্ক লিবিয়াতে যে ২,০০০ সিরিয়ান মার্সেনারি পাঠিয়েছে, এক রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র হলেও একটা অংশ আছে সিআইএর ট্রেনিং পাওয়া। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে তুরস্ক এবং আমেরিকা যখন ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলো তখন তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার কোর্ডিনেশনে সিআইএ যেসব ফ্রি সিরিয়ান ‘আর্মি’কে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলো, তাদের মধ্যে কয়েকজন এখন লিবিয়াতে যুদ্ধ করছে। সিরিয়ার যুদ্ধের সময় যখন নিউজ আসতো, সেখানে সিআইএ ব্যাকড রেবেলরা পেন্টাগন ব্যাকড রেবেলদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন হাসি আসতো। এখন আর হাসি আসে না। এখন দেখছি এটাই স্বাভাবিক। ফেসবুক থেকে