শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া? বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে আলোচনা উদ্যোগ ◈ আজ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ◈ ভয়ানক অভিযোগ জাহানারার, তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন (ভিডিও) ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির!

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সীমান্ত চোরাচালানের ফিল্ড ওয়ার্কারেরা প্রায় সবাই ড্রাগে আসক্ত থাকে, তাদের গডফাদারেরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে

 

মাহফুজুর রহমান

সীমান্ত চোরাচালানের ফিল্ড ওয়ার্কারেরা প্রায় সবাই ড্রাগে আসক্ত থাকে, তাদের গডফাদারেরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বাড়িঘরের অবস্থাও ভালো থাকে না। তারা লেখাপড়া করে না বা গডফাদারেরা নিরুৎসাহিত করে। পরিবারের প্রায় সবাই ড্রাগে আসক্ত ও চোরাচালানি কাজের ফিল্ড ওয়ার্কারের সঙ্গে জড়িত। তারা দুই পারেরই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ইনফর্মার ও যোগাযোগ রাখে। ওপারের গডফাদারের সঙ্গে এপারের গডফাদারদের যোগাযোগ হয় ইন্টারনেটে, হটস অ্যাপে, অর্থের লেনদেন হয় হুন্ডিতে। দুই দিকের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে লিয়াজোঁ মেইনটেইন করে যারা তাদের ফিল্ডের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই, তারা হোটেলে থেকে টপদের সঙ্গে বিষয়ের দেনদরবারে ফাইনাল হয়ে গেলেই সিগন্যাল পাঠায় সংশ্লিষ্টদের। সিগন্যাল পেয়েই তারা ফিল্ড ওয়ার্কারদের ( ড্রাগে এডিক্টেড) নামিয়ে দেয় রাতের অন্ধকারে। তবে কখনো কখনো আসামিদের ধরতে হয়, গুলিও করতে হয়Ñ এ সব উপরের নির্দেশ, না হলে ডিউটি হচ্ছে এর প্রমাণ কী? ২. দুর্নীতির বিষয়টি আমরা এতোটাই স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিয়েছি যে এখন আর বুঝতেই পারছি না কোনটা দুর্নীতি আর কোনটা দুর্নীতি নয়। এটা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের স্বাভাবিক অংশ মনে হচ্ছে। একজন মানুষের স্যালারি তো এমন বেশি হতে পারে না যে সে ইচ্ছামতো খরচ করবে, তেমন বেশি স্যালারি এ দেশে কোনো অফিস দেয় না। যখন কেউ দুর্নীতি করবে তখন তার চালচলনেই তা প্রকাশ পাবেই, এটা তার বাসাতেও প্রতিফলিত হবে। স্ত্রী রিকশা ছাড়া বাইর হবে না, পাশের মুদির দোকানের খরচ বেড়ে যাবে। কারণ স্ত্রীও দুর্নীতির অর্থ টের পাবে, ছেলেমেয়েরাও টের পাবে আর বেশুমার খরচ করবে। কিন্তু স্যালারির উপর নির্ভর হলে এই পরিবারকে বোঝাই যাবে।
এই পরিবারের ছেলেমেয়েরা প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত ভালো রেজাল্ট করলেও কলেজ থেকে আর ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। ম্যাক্সিমাম ছেলেরা বাবা-মার কাছ থেকে চাপ দিয়ে মোটরবাইক-পালসার কিনে নেয়। তাদের ম্যাক্সিমাম বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে পঙ্গু হয়ে যায়। আর মেয়েরাও বেশুমার খরচ করে নানা পার্টিতে। কেউ যদি দুর্নীতি করেও তাহলে সে যেন সেই অর্থ বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের না দেখায়। বাসা চালাতে হবে স্যালারির টাকায় হিসেব করে। আবার অনেকেই চাকরিতে দুর্নীতি করে, আবার অন্য কেউ যেন না বোঝে তাই বন্ধু ও আত্মীয় মহলে প্রচার করে যে সে ব্যবসা করে। মাছের ঘের আছে, ইটের ভাটা আছে, কন্ট্রাক্টরি আছে, গরুর ফার্ম আছে, চিংড়ি মাছের ব্যবসা আছে। যে যাই বলুক উপরে আল্লাহ আছে যিনি সবই দেখেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়