স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি বছরের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। তার এক বছর পরেই আবার আয়োজিত হবে ক্রিকেটের এই ফরমেটের অষ্টম আসর। সেই আসরে সরাসরি খেলার সুযোগ বাংলাদেশ তৈরি করে নিতে হবে সপ্তম আসর থেকেই।
২০২১ সালে ভারতের মাটিতে আয়োজন করার কথা ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু ২০১৮ সালেই সিদ্ধান্ত বদল করে আইসিসি, ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বদলে ২০ ওভারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর মাঠে গড়াতেই এখনো প্রায় ৯ মাস বাকি, তারমধ্যেই ২০২১ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইংয়ের নিয়মকানুন বলে দিলো আইসিসি। যেখানে সরাসরি খেলতে পারবে ১২টি দল, তবে এক্ষেত্রে শুধু র্যাঙ্কিংকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি।
২০২০ বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ পাওয়া প্রথম ৮টি দল ২০২১ বিশ্বকাপেও সরাসরি খেলবে। পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সরাসরিই খেলার নিশ্চয়তা পাচ্ছে বলা যায়। অপরদিকে এই বিশ্বকাপের বাকি ৮ দল- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ গিনি, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওমানের মধ্যে থেকেও ৪টি দলের সুযোগ থাকবে সরাসরি ২০২১ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার। এক্ষেত্রে ২০২০ বিশ্বকাপে তাদের সুপার টুয়েলভে উঠতে হবে।
সুপার টুয়েলভে উঠতে ব্যর্থ হওয়া দল ৪টিকে আবার খেলতে হবে বাছাইপর্ব। যেখানে ৫টি মহাদেশ থেকে আইসিসির ভাগ করা ১১টি অঞ্চলের মধ্যে থেকে প্রতিযোগিতা করে উঠে আসা ৮টি দল সুযোগ পাবে এবং তাদের সাথে আরো ৪টি দল- জিম্বাবুয়ে, হংকং, নেপাল ও আরব আমিরাত সরাসরি বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পাবে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি তাদের র্যাঙ্কিংয়ের অবস্থান অনুযায়ী।
এই ক্ষেত্রে ভারতে আসন্ন ২০২১ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে অবশ্যই সুপার টুয়েলভে উঠতে হবে।