আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : নির্মাণ কাজের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর বালির সুখ্যাতি দীর্ঘদিনের। জেলার ২১টি বালিমহল থেকে এসব বালি উত্তোলন ও সরবরাহ থেকে প্রতিদিন অন্তত: ৫ লাখ ঘনফিট মোটা বালি যাচ্ছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে। যার আর্থিক মূল্য নূন্যতম (প্রতি ঘনফুট ৩০-৪০টাকা হিসেবে) দেড় থেকে দুই কোটি টাকা।
রাষ্ট্রীয় এই সম্পদ থেকে বার্ষিক হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্রবাহ সৃষ্টি হলেও এখাত থেকে সরকারি কোনো রাজস্ব পাননা জেলার রাজস্ব বিভাগ। নাম সর্বস্ব অস্তিত্বহীন মামলাবাজ চক্রের সৃষ্ট আইনী জটিলতা জিইয়ে রেখে টোলের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও জেলার রাজস্ব বিভাগের প্রাপ্তি শুন্য।
কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এই আইনগত জটিলতা বিদ্যমান থাকায় দীর্ঘ ১০বছর যাবত ইজারাবিহীন ২১টি বালিমহল থেকে সরকার অন্তত ২শ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলার রাজস্ব বিভাগ।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) ওবাইদুর রহমান এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জেলার ২১টি বালিমহালে আইনগত জটিলতা বিদ্যমান থাকায় দীর্ঘ ১০ বছরে দেড় থেকে ২শ কোটি টাকা সরকারী রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে এই মামলা জটিলতা নিরসনের জন্য। উচ্চ আদালত থেকে আইনী লড়াই করে যখনই কোনো বালিমহাল ভ্যাকেট করা হয় তখনই আবার নতুন ভাবে রীট পিটিশন করে একটি মহল দিনের পর দিন এই জটিলতা সৃষ্টি করে চলেছেন। সম্পাদনা: জেরিন