মাজহারুল ইসলাম : সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এর মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছবে। মধ্যমেয়াদি রাজস্ব কৌশল প্রয়োগ করে ইতোমধ্যে উগান্ডা, সেনেগাল ও মোজাম্বিকের মতো দেশ বিশেষ সফলতা পেয়েছে। এমনটি হলে ভবিষ্যতে দেশের কর আদায় পদ্ধতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে। সূত্র : আমাদেরসময়
জানা গেছে, অন্যান্য দেশের জিডিপির অনুপাতে দেশে রাজস্ব আহরণ কম। তাই রাজস্ব আহরণ বাড়াতে সংস্কারমূলক কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। ‘মধ্যমেয়াদি রাজস্ব আদায় কৌশল’ হিসেবে একটি নতুন কাঠামোর পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মনে করা হচ্ছে, উন্নত বিশ্বের আদলে নতুন এই কাঠামো বাস্তবায়িত হলে কর জিডিপি অনুপাত ১৬ শতাংশে উন্নীত করা সহজ হবে।
সূত্র জানায়, গত ৫ বছরে গড়ে দেশের রাজস্ব জিডিপির অনুপাত ছিলো ১০ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল এশিয়ায় এ হার ছিলো ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতে ২০ দশমিক ৩, নেপালে ২৩ দশমিক ৩, পাকিস্তানে ১৫ দশমিক ২ এবং শ্রীলংকায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থ বিভাগের বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক দশকে দেশের টেকসই উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও রাজস্ব আহরণের কৌশলে দুর্বলতা রয়েছে। আর তাই এমন দুর্বলতা দূর করতে মধ্যমেয়াদি কৌশল নিচ্ছে সরকার।
সূত্র জানিয়েছে, এ কৌশলের অংশ হিসেবে আগামী তিন অর্থবছরে ধাপে ধাপে রাজস্ব আদায় পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আগামী অর্থবছর থেকেই গঠন করা হবে রেভিনিউ থিংকট্যাংক। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। এতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক। আগামী অর্থবছরে এটি চালুর জন্য প্রকল্পের বিনিয়োগ প্রস্তাব (ডিপিপি) এবং প্রকল্প প্রস্তাব (টিএপিপি) তৈরি করছে এনবিআর।