লাইজুল ইসলাম : সমুদ্রের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র সৈবাল দীপ সেন্টমার্টির। এখানে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষাধীক পর্যটক বেড়াতে যান। পর্যটকদের জন্য এই দীপে রয়েছে একশোর ওপরে হোটেল ও মোটেল।
প্রত্যেকটি হোটেল ও মোটেলের রয়েছে নিজস্ব পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা। নিজস্ব ব্যবস্থা থাকলেও কেন্দ্রীয় ভাবে নেই কোনো পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা। মাঝে মধ্যেই হোটেলগুলো সেপটিক ট্যাংকি ভরে যায়। সেসময় সেখান থেকে বর্জ তুলে সেন্টমার্টিনের গহীনে নিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়। কিন্তু এতে ধীরে ধীরে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে বলে মনে করেন হোটেল ও মোটেল ব্যবসায়ীরা।
এই সমস্যার সমাধান হিসেবে তারা মনে করেন, সেন্টমার্টিনে কেন্দ্রীয় পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা জরুরী। এতে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ আরো ভালো থাকবে। প্রশাসণকে বিভিন্ন সময় এই বিষয়ে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ববস্থা গ্রহণ করলেও ব্যবসায়ীরাও সাহায্য করবে।
আরো একটি সমস্যার কথা উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীরা। বলেন, সেন্টমার্টিনের তলদেশের পানির স্তর ধীরে ধীরে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। তাই এই পানি ব্যবহার না করে সমুদ্রের পানি ব্যবহারের জন্য একটি প্ল্যান্ট বসানোর দাবি করেন তারা। বলেন, এতে মাটির নিচের অংশের পানি রক্ষা পাবে। আর সমুদ্রের পানির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লীষ্টদের বলেও কোনো কাজে আসেনি। মাটির নিচের পানি এক সময় শেষ হয়ে যাবে। তখন সেন্টমার্টিনের পরিবেশ নষ্ট হবে।
জানাগেছে, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটন এড়িয়া নিয়ে মাষ্টার প্লান তৈরি করছে। এতে সেন্টমার্টিন নিয়ে বৃহত পরিকল্পনা রয়েছে। মাষ্টারপ্লান করার সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তা প্রণয়ন ও বাস্তাবায়ন করা হবে।