পীর হাবিবুর রহমান : কেউ কেউ একেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ হয়। কেউ কেউ প্রতিষ্ঠান গড়ে তার শক্তিতে প্রতিষ্ঠান হয়ে যায়। গণতন্ত্রের নবযাত্রায় টগবগে তারুণ্যের সাংবাদিকতায় নতুন ধারার সাংবাদিকতার প্রবর্তক নাঈমুল ইসলাম খানের সম্পাদনায় আজকের কাগজ পাঠক নন্দিত হয়েছিলো। সেই নাঈমুল ইসলাম খানকে বিদায় করে প্রতিষ্ঠানের প্রাণের মৃত্যু ঘটানো হয়। পরে আজকের কাগজ রক্তহীন হতে হতে একদিন মরে গেলেও কর্মীরা মরেনি। যার যার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সাহসী প্রখ্যাত রিপোর্টার থেকে বাংলাবাজার পত্রিকার সম্পাদক হয়েছিলেন মতিউর রহমান চৌধুরী। সাহসী সাংবাদিকতায় খবরভিত্তিক এ দৈনিক পাঠক নন্দিত হয়। একদিন মতিউর রহমান চৌধুরীকে মালিকানা ছেড়ে দিলেও কাগজটি জনপ্রিয়তা হারায়নি। তিনিই প্রতিষ্ঠানের প্রাণ হন। কিন্তু যেদিন তাকে চলে যেতে হয় সেদিন থেকে রোগে ভুগে কাগজটির একসময় মৃত্যু ঘটে। তিনি ও তার সংবাদ কর্মীরা যার যার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বে জ্বলে উঠেন। ভালো আছেন।
কেবল বাংলাবাজার মরে গেছে। সেই সময় ভোরের কাগজ আসে মতিউর রহমান ও নাঈমুল ইসলাম খানের হাত ধরে। নাঈমুল চলে গেলেও একসময়ের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র সাপ্তাহিক একতা সম্পাদক মতিউর রহমানের সম্পাদনায় নেতৃত্বে ভোরের কাগজ জনপ্রিয় হয়। তিনিই হন এ প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। একদিন মতিউর রহমান চলে গেলে ভোরের কাগজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না কোথাও। মতিউর রহমানের প্রথম আলো জনপ্রিয় শক্তিশালী সাহসী দৈনিক হয়েছে। মতিউর রহমান হন প্রাণ ও প্রতিষ্ঠান। অনেকদিন থেকে শুনছি তাকে কি এক অদৃশ্য কারণে সরে যেতে হবে। লেখক আনিসুল হক হবেন সম্পাদক। মতিউর রহমানকে সরিয়ে আনিসুল হককে সম্পাদক করা হলে নিশ্চিত এটার মৃত্যুঘণ্টা বাজবে। আনিসুল হককে দিয়ে সাহিত্য পত্রিকা বা লিটল ম্যাগ হলেও সংবাদভিত্তিক দৈনিক হবে না, আমি নিশ্চিত। গণমাধ্যম দুর্বল হলে রাষ্ট্র দুর্বল হয়, গণতন্ত্র ভঙ্গুর হয়, মানুষের শক্তি কমে যায়। গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারক ও সম্পাদকদেরও ভাবতে হবে গণমাধ্যমের কাজ কি? গণমাধ্যম চরিত্র হারাচ্ছে কিনা। আচার বানানো ও রান্নার প্রতিযোগিতা আর বিজ্ঞাপনের লোভে ইভেন্ট করা কাজ কি না, নাকি গণমাধ্যম হবে সমাজের সেই আয়না যেখানে নিউজ অ্যান্ড ভিউজ থাকবে। আমাদের প্রিন্ট মিডিয়া এমন কিছু কা-কীর্তি করে যে পশ্চিমা মিডিয়া তা কখনো ভাবেইনি। কারণ গণমাধ্যমের সেটা দায়িত্ব নয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :