মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে অবৈধ পন্থায় ভুয়া ঋণের মাধ্যমে ৩৫০০ কোটি অর্থাৎ কানাডীয় ৫৪ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের ক্ষেত্রে তদন্তানাধীন ৬১টি পৃথক মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের ১৫৬২৫ নম্বর স্মারকপত্রে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল জি বি হোসেন (গাজী বেলায়েত হোসেন) ওরফে মিঠুর দেশত্যাগের বিষয়ে বাংলাদেশ পাসপোর্ট: বিআর ০৫০২১০৯ এবং কানাডিয়ান পাসপোর্ট: এবি ৯৪৫৭২৭-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে বলা হয় যে, তিনি জালিযাতির মাধ্যমে ওই ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা বা কানাডীয় ৪.৬ মিলিয়ন ডলার আত্মসাত করেছেন।
তবুও গাজী হোসেন বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তিনি তার স্ত্রী নাহিদ আক্তারের সঙ্গে লেকঘেষা স্কারবরো ব্লাফসের ৯১ হিল ক্রিসেন্ট, স্কারবরো, অন্টারিও এম১এম ১জে৩, কানাডা ঠিকানায় একটি বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকছেন, যার মূল্য কানাডীয় অর্থে আনুমানিক ১৬ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ১০৪ কোটি টাকা। এই ঠিকানায় তার নামে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর থেকে কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের নিবন্ধনভুক্ত কবডেন ট্রেভেল সেন্টার ইনকর্পোরেটেড নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া দূরবর্তী একটি শহরে ‘আলট্রামার’ ব্র্যান্ডের গ্যাস ষ্টেশন বা পেট্রলপাম্প রয়েছে। একমাত্র টরন্টো শহরের ৩৪৫৪ ও ৩৪৫৬ ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউ, অন্টারিও এম১এল ১ই৩, কানাডা ঠিকানাতেই রয়েছে এই দম্পতির কলপাতা বুফে কুজিন এবং ভাসাবি’স নাহিদ’স কালেকশন নামে দুটি প্রতিষ্ঠান, যা আপাতত তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর বন্ধ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :