মুসফিরাহ হাবীব: মানসিক স্বাস্থ্যর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বলিউডের অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। দাভোসে ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হল 'ছাপাক' স্টারের হাতে। উপস্থিত দর্শকদের সামনে নিজের জীবনের হতাশার কাহিনি তুলে ধরেন দীপিকা।
হতাশার সঙ্গে তার লড়াই কীভাবে এ নিয়ে সচেতনতা প্রচারের কাজের ক্ষেত্রে তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, সেই গল্পই দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি।
৩৪ বছর বয়সী দীপিকা মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাকে মুখ্য করে একটি ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছেন দীর্ঘদিন হল। ২০১৫ সালে ‘লিভ লাভ লাফ’ অর্থ্যাৎ ‘বাঁচো- ভালোবাসো- হাসো’ এই নামে একটি ফাউন্ডেশন শুরু করেন।যেটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা।
পুরষ্কার গ্রহণ করে দীপিকা বলেন, 'আমি যখন এই পুরস্কার গ্রহণ করছি, তখনই বিশ্ব আরও একজন আত্মঘাতীকে হারিয়েছে। হতাশা ও মানসিক অসুস্থতার জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের প্রভাব পড়ে।' তিনি আরও বলেন,“আমি নিজেকে দিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছি। এটি বেশ জটিল একটি বিষয়। কিন্তু কোনও ভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার মত নয়।
দীপিকার কথায়, হতাশা একটা সাধারণ অসুস্থতা। এটা বুঝতে হবে যে হতাশা অন্যান্য রোগের মতোই, এর চিকিৎসা করা যায়। সেরে ওঠার প্রথম পদক্ষেপ হল এ অসুস্থতার কথা মেনে নেওয়া। নিজের অভিজ্ঞতার থেকেই ‘লিভ লাভ লাফ’ গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা পাই। সবশেষে দীপিকা বলেন, এর সঙ্গে আমার ভালোবাসা ও ঘৃণার সম্পর্ক আমাকে অনেককিছু শিখিয়েছে। যারাই এই সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বলতে চাই আপনি একা নন।সম্পাদনা: জেবা আফরোজ