আমতলী প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলার তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সৌরভ ডাকুয়াকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে স্থানীয় বখাটে মোটর সাইকেল চালক সুজন ও তার সহযোগীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত স্কুল ছাত্রকে স্বজনরা উদ্ধার করে সোমবার গভীর রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১০ টার দিকে তারিকাটা বিদ্যালয়ের পিছনে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর সৌরভ ডাকুয়া ও গোবিন্দ কর্মকার এসএসসি পরীক্ষার্থী। তারা ওই বিদ্যালয়ের হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে আসছে।
গত রোববার রাতে হোস্টেল থেকে গোবিন্দ কর্মকারের একটি মোবাইল সেট হারানো যায়। এ মোবাইল চোর সনাক্ত করার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় তারিকাটা গ্রামের নিজাম ফকিরের কাছে যায়। ওই ফকির আয়না পড়ার মাধ্যমে সৌরভ মোবাইল চুরি করেছে বলে দেখতে পায়। পরে গোবিন্দ কর্মকার স্থানীয় বখাটে মোটর সাইকেল চালক সুজন ও তার সহযোগী শামিম গাজী, হাসান, রাজিবসহ ৭-৮ জনকে সৌরভের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধারের জন্য ভাড়া করে।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে সৌরভকে বিদ্যালয়ের হোস্টেল থেকে ধরে নিয়ে যায় সুজনসহ বখাটেরা। পরে হোস্টেলের পিছনে একটি বাগানে নিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদ এনে লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করে। সৌরভের ডাক চিৎকারে স্থানীয় শাহীন, আলমগীর, খলিল ও সোহেল এসে তাকে উদ্ধার করে।
বখাটেরা মারধর করে যাওয়ার সময় সৌরভকে শাসিয়ে যায় এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে জানান সৌরভ। এ ঘটনায় সৌরভের লেখাপড়া হুমকির মুখে বলে পরেছে জানান, সৌরভের বাবা সন্তোষ ডাকুয়া।
আহত সৌরভ জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মোবাইল চুরির অপবাদ এনে বেধরক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বখাটে সুজন বলেন, সামান্য কিছু ঘটেছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের অভিভাবকরা বসে মিটমাট করে দিবেন।
আহত সৌরভের বাবা সন্তোষ ডাকুয়া বলেন, বখাটেরা আমার ছেলেকে মারধর করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাকেও দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, সৌরভের বাম পায়ে আঘাতসহ শরীরর বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম রয়েছে। সৌরভকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে সুজন নামের এক মোটর সাইলেক চালক আমার বিদ্যালয়ের এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী সৌরভকে মরধর করেছে। আমি এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। বাহিরের লোকজন এসে আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রকে মারধর করবে তা মেনে নেয়া যায় না।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন