দেবদুলাল মুন্না: বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ শ্যামল চৌধুরী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ারসিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।অতীতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। গতকাল স্কাইপিতে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সামনে ঘোরতর অন্ধকার দেখে বিশ্বের নামকরা দুই অর্থনীতিবিদ ড. জাস্ট ফালান্ড ও জ্যাক আর পারকিনসন।১৯৭৬ সালে বই লিখেছিলেন ‘বাংলাদেশ : এ টেস্ট কেস ফর ডেভেলপমেন্ট’। বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ যদি অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করতে পারে, তাহলে দুনিয়ার যেকোনো দেশই উন্নত হতে পারবে।’
তিনি বললেন ‘ ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সবার সামনে থাকতে কাজ করছে। তার আগেই গত বছরই জাতিসংঘের কাছ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রথম সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। তিনটি সূচকের তিনটিতেই সাফল্য দেখিয়ে ২০২৪ সালেই উন্নয়নশীল দেশে নাম লেখাতে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ঢাকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন বাংলাদেশের তিনটি খাতকে আগামী দিনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করেছে। এগুলো হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও হালকা প্রকৌশল শিল্প খাত।’
বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে, সামাজিক বিভিন্ন সূচকে ভারতের চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু।