শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:৫৮ রাত
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌদিআরবে নারী কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (মানিক) : আমরা সবাই কমবেশি অবগত আছি যে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সৌদিআরবে পুরুষ ও নারী গৃহকর্মী প্রেরণ কার্যত বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে সৌদিআরবে নারী গৃহকর্মী প্রেরণের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানের এই দ্বার উন্মুক্ত হয়। ২০১৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত মাত্র ২৬-২৭টি রিক্রুটিং এজেন্সির নারী কর্মী বিভিন্ন দেশে প্রেরণের অনুমোদন ছিলো।

তৎকালীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয়, সচিব মহোদয়সহ সরকার ও প্রশাসনের সার্বিক সহায়তার আশ্বাসে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বৈধভাবে প্রবাসে নারী গৃহকর্মী পাঠানো এজেন্সির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩২টি। প্রধানমন্ত্রীর নেয়া এই পদক্ষেপের পর গেলো ৫ বছরে সৌদিআরবে পাঠানো হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষাধিক নারী গৃহকর্মী।

এসব নারী কর্মী পাঠাতে গিয়ে প্রশাসন ও সরকারের সার্বিক সহায়তায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বহু সভা, সেমিনার এবং জেলায় জেলায় জব ফেয়ারের আয়োজন করে। নানাবিধ প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বেকার, অসহায় ও হতদরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

আজ সেইসব নারীরা বিদেশে গিয়ে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রেখে যাচ্ছেন তা দিকে ৫টি পদ্মা সেতু করা সম্ভব।

২০১৫ সালের পূর্বে যে নারী পায়ে স্যান্ডেল পড়ার মত সামর্থ্য ছিলো না, সেই নারী আজ শুধু নিজেই না পুরো পরিবারকে নিয়েই ভালো এবং নামীদামী ব্রান্ডের জুতা পড়ে। ভালো টিনের ঘরে বসবাস করে, কেউ কেউ টিনের ঘরের স্থলে দালানেও বসবাস করেন। অর্থাভাবে শিক্ষার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়া সন্তানটিও ভালো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারছে। এছাড়াও সরকারের পাশাপাশি গ্রামের অবকাঠামোগত অবস্থা পরিবর্তনেও এসব নারী কর্মীরা নিরলসভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন। এ সবই মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শীতার ফসল।

প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান “গ্রাম হবে শহর” আমরা সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। আজ নারী কর্মীদের “অর্জিত আয়ে গ্রাম উন্নয়নে পরিবর্তন” দৃশ্যমান। “অর্জিত আয়ে সামাজিক উন্নয়ন” ও “অর্জিত আয়ে অর্থনীতিতে প্রভাব” সর্বোপরি জিডিপিতে প্রভাবও দৃশ্যমান।

সরকারের উদ্যোগের ফসল নারী গৃহকর্মী বিদেশে যেতে কোন ধরণের টাকা লাগে না; সম্পূর্ন বিনা খরচে তারা বিদেশ যেতে পারছেন।

আর এসব নারীকর্মীদের এই সফলতার পেছনে অনেক বড় অবদান রেখে যাচ্ছে সকল রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। আমাদের অঙ্গীকার হোক দারিদ্র ও নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।

লেখক : চেয়ারম্যান, ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর ও মেসার্স রাবাহ্ ইন্টারন্যাশনাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়