শিরোনাম
◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম 

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৪০ সকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভুয়া চিকিৎসক ও ওষুধ : এতো মানুষ হত্যার দায় কে নেবে?

অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন : রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেসবুকের ইনবক্সে ‘ড্রাগ ইনডেক্স’ নামের একটা বইয়ের প্রচ্ছদের ডিজাইন দেখে চমকে উঠলাম। সেই সঙ্গে প্রচ্ছদের ডানে ও বামে ড্রাগ ইনডেক্স বইটি কেন পড়বেন এবং কারা পড়বেন তা লেখা আছে। বইটি কেন পড়বেন, তার কারণ হিসেবে লেখা আছে : রোগ, চিকিৎসা ও ওষুধ সংক্রান্ত বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখিত বাংলাদেশে প্রথম বই ‘ড্রাগ ইনডেক্স’, রোগ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, ১২০টি ওষুধের সব তথ্য, ৬০টিরও বেশি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি, হিউম্যান বডি সিস্টেম অনুযায়ী রোগ ও ওষুধ, প্রাথমিক চিকিৎসা, ৯৫০টি ওষুধের প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি। ড্রাগ ইনডেক্স বইটি কারা পড়বেন সেই তালিকায় লেখা আছে : ডাক্তার, ইন্টার্ন ডাক্তার, এমবিবিএস ছাত্রছাত্রী, ডিএমএফ ডাক্তার, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, নার্স, আরএমপি ডাক্তার, পিসি ডাক্তার। এমনিতেই দেশে এখন ডাক্তারের অভাব নেই।

কয়েক সপ্তাহের নামমাত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে হাতুড়ে ডাক্তার থেকে শুরু করে ডিপ্লোমা টেকনোলজিস্ট, প্যারামেডিক্স, এমনকি ওষুধের দোকানদারও নামের আগে ‘ডা.’ লাগিয়ে দেশের আনাচে-কানাচে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরোয়েডের অপপ্রয়োগ করে অধিকাংশ সময়ে রোগীর জীবন বিপন্ন করে তুলছে। অনেক সময়ে দেখা যায়, হাতুড়ে ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে তারা যখন এমবিবিএস ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে কিংবা হাসপাতালে আসেন, ততোক্ষণে ডাক্তারের আর কিছু করার থাকে না।

এহেন পরিস্থিতিতে ‘ড্রাগ ইনডেক্সে’র মতো চটি জাতীয় বই আগুনে ঘি ঢালার মতোই। এই বই পড়ে বিভিন্ন পর্যায়ের ডাক্তাররা আরও উৎসাহ নিয়ে তাদের অপচিকিৎসা চালিয়ে যাবে, যা অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে। চটি বইটির লেখক মো. আল-আমীন। মানুষের চিকিৎসা করা যদি এতোই সহজ হতো তাহলে কেন পাঁচ বছর পড়াশোনা করে এবং এক বছর ইন্টার্নশিপ করে কেন একজন ডাক্তার হবেন? আর চিকিৎসার নামে যত্রতত্র নামের আগে ‘ডা.’ লিখে ভুয়া ডাক্তারেরা যে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তার দায় কে নেবে? অচিরেই জনগণের চিকিৎসা সেবার উপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টিকারী এই বইটি নিষিদ্ধ করা হোক। চিকিৎসার নামে জনগণকে প্রতারিত করা বন্ধ হোক। ভুয়া ডাক্তারদের হাত থেকে রোগীর জীবন বাঁচান। লেখক : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চেয়ারম্যান, ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটস (এফডিএসআর)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়