আর রাজী : টেরিস্টেরিয়াল একুশে টিভি বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার অতুলনীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলো। তাকে রক্ষা করতে আমরা কিছু করিনি। গ্রামীণ ব্যাংক, এই অনন্য প্রতিষ্ঠানটিকে এবং অবশ্যই বিশ্বসমাদৃত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নাজেহাল হওয়া থেকে রক্ষার করতে আমরা কিছু করিনি। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা চিন্তক ফরহাদ মজহারকে নাজেহাল হওয়া থেকে আমরা রক্ষা করতে কিছু করিনি। এমন উদাহরণের তালিকা দীর্ঘ করা যায় অবশ্যই। যে কথা বলতে চাই তার জন্য এই তালিকা বড় করা জরুরি নয়। কথাটি হচ্ছে বাংলাদেশের সেরাদের সেরা সম্পাদক মতিউর রহমানকেও নাজেহাল হওয়া থেকে রক্ষা করতে আমাদের জোরালো ভূমিকা তো দূরের কথা প্রতিবাদটুকুও তেমন দৃশ্যমান নয়।
এ মুহূর্তে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাবো না, কেবল এটুকু বলি, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এই রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য তুলনারহিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম এ দেশের জন্য অতিজরুরি মানুষ। একদিনে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, মতিউর রহমান বা মাহফুজ আনাম তৈরি হয় না। কচুগাছ কাটতে কাটতে ক্ষমতাতন্ত্র অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর সমাজের বটগাছগুলোর ডাল ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সফলও হয়। আজ মহিরুহের ঘাড়ে তলোয়ার তুলে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ও যদি আমরা যথা কর্তব্য না করতে পারি তাহলে রাষ্ট্র ও জাতি ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। মৃত মানুষ আর মৃত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব জীবিত মানুষ/প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা/নেতিবাচকতা থাকবেই। সমালোচনা হতে হবে, কিন্তু বিপদের দিনে বিপদ এড়াতে ভূমিকা রাখাটাই সবচেয়ে জরুরি। আমাদের কর্তব্য অবহেলার দ- ভয়ানক হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :