রিফাত হাসান : কন্সপিরেসি থিওরি, যেমন ইলুমনিতি ও গালগল্পের ফোরামগুলো মজার জিনিস। পাবলিক স্পিকাররা বা মোটিভেশনাল স্পিকাররা, যেমন হুজুররা, যখন এসব নিয়ে মোটিভেট করতে থাকেন মানুষকে, তখন বোঝা যায় এর ক্ষমতা। কোন এক ইব্রাহিম হুজুরকে দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম এটা নজরে পড়লো। লোকজন মন্ত্রমুগ্ধের মতো সে সব গালগপ্পো নিয়ে তর্ক করে। তারপর দেখা গেলো কোনো জনপ্রিয় হুজুরেরই কন্সপিরেসি থিওরির বাইরে কোনো বক্তব্য নেই। আমার বরং ইব্রাহিম হুজুরের ওয়াজ ভালো লাগছিলো। কেমন নিষ্পৃহভাবে নিউটনের মুসলমান হওয়ার গল্প আর ইহুদিদের হাতে টাইটানিক ধ্বংসের কাহিনি বা চাঁদে যাওয়া নিয়ে কন্সপিরেসি তত্ত্বগুলো বলেন। রূপকথার মতো, কন্সপিরেসির বাইরে কিছুই ঘটে না যেন। বামপন্থীরা তো দুনিয়াতে এ সব কন্সপিরেসি থিওরির উপরই চলতো। এখন অবশ্য এই ঘটনা স্রেফ মিথ্যাচারে ঠেকেছে। মানে বক্তা নিজের রেফারেন্সে মিথ্যা, বানানো ঘটনা বলে বেড়াচ্ছে আর বাহাদুরী দেখাচ্ছে। ইব্রাহিম হুজুরকে নিয়ে কয়েকদিন আগে বলছিলাম। আসেন তা আবার পড়ি : ঝঢ়ড়ড়হ নড়ু : উড় হড়ঃ ঃৎু ধহফ নবহফ ঃযব ংঢ়ড়ড়হ- ঃযধঃ’ং রসঢ়ড়ংংরনষব. ওহংঃবধফ, ড়হষু ঃৎু ঃড় ৎবধষরুব ঃযব ঃৎঁঃয. ঘবড় : ডযধঃ ঃৎঁঃয? ঝঢ়ড়ড়হ নড়ু : ঞযবৎব রং হড় ংঢ়ড়ড়হ. মেট্রিক্স রেভ্যল্যুশনস মুভির এই আলাপটি বা এই ধরনের ডায়লগগুলো খুব পরিচিত ও জনপ্রিয়। অস্তিত্বের রিয়েলিটিরে নিয়ে যে প্রশ্ন হাজির করতে চায় এটি তা আপাতদৃষ্টিতে অদ্ভুত। মানে রিয়েলিটি বলে যা আপনি হাতে নিয়ে স্পর্শ করছেন, দেখছেন, ভাঙতে পারছেন না, তারে ভাঙতে, অস্বীকার ও মিথ্যা ভাবতে বলা।
তার বিপরীতে চাঁদে মানুষ গেলো কি না, এই প্রশ্নটা তেমন অদ্ভুত কিছু তো নয়। একটা ঐতিহাসিক ঘটনার সত্যতা নিয়ে সরল সন্দেহ মাত্র। আচ্ছা ইতিহাস বা ঘটনা ব্যাপারটা কেমন? তেমন পবিত্র বিশ্বাসের কোনো ব্যাপার? সংশয়কে তো আপনারা জ্ঞানের পবিত্র ধাপ বলেও বর্ণনা করেন। এটা নিয়ে কন্সপিরেসি থিওরিস্টদেরও তো প্রচুর গপশপ আছে। তো এই ইস্যুতে হুজুররাও আরজ আলী মাতব্বর গোছের একটু সন্দেহ, জ্ঞান ও ভাবের আলাপ করলেন আর কি। তাদের কিউরিসিটি নিয়ে আপনার সমস্যাটা ঠিক কোন জাগায়? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :