ইয়াসিন আরাফাত : শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের মহাকাশ সংস্থা আইএসএ। সংস্থাটি বলেছে, ইরানি বিজ্ঞানীদের দেড় বছরের প্রচেষ্টায় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। ৯০ কেজি ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহে রয়েছে চারটি কালার ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা ভূপৃষ্ঠের ছবি ধারণ করে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবে। ইরানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উপগ্রহ তৈরি করা হয়েছে। পার্সটুডে
গত বছর জানুয়ারিতে ইরানের তৈরি পায়াম স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ কারিগরী সমস্যার কারণে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যায়ে স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পৌঁছাতে পারেনি। নতুন জাফার স্যাটেলাইটটি আকার ও ওজনের দিক থেকে পায়াম স্যাটেলাইটের মতো হলেও এতে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। জাফার স্যাটেলাইটের ইমেজ রেজ্যুলেশন হচ্ছে ৮০ মিটার।
এর আগে ২০০৯ সালে ইরান প্রথম উম্মিদ বা আশা নামের ১ টি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। ইরানি বিজ্ঞানীরা নিজেরাই সেটি তৈরি করেছিলেন। এরপর ২০১০ সালে প্রাণীবাহী মহাকাশযান মহাকাশে পাঠায় তেহরান। এ মহাকাশযান পাঠানোর জন্য কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে আরও ১ টি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইরান। বার্তমানে এটি উঁচুমানের ছবি ধারণ করে পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম