সাইফুর রহমান : শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ৩১ রান আর হাতে আছে মাত্র ২ উইকেট। এমন টান টান উত্তেজনার মুহুর্তেই ব্যাটিংয়ে ঝলসে ওঠেন ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল। তার জড়ো ব্যাটিংয়ে মুহুর্তেই ধুলোয় মিশে গেলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। ফলাফল মাহমুদউল্লার দলকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে খুলনার মুখোমুখি হচ্ছে রাজশাহী রয়্যালস। ক্রিক ইনফো
গোটা মোট ২২ বল খেলে রাসেলের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৫৪। এর মধ্যে ৭ ছক্কা এবং ২ বাউন্ডারি থেকেই তিনি তুলে নেন ৫০ রান। ২০তম ওভারের তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের দল রাজশাহীকে ফাইনালে তুলে দেন রাসেল।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুর দিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের গতিদানব রুবেল হোসেনের গতিঝড়ে কিছুটা বিপর্যস্ত হয় রাজশাহী। দ্বিতীয় ওভারেই ৪ বলে মাত্র ২ রান তুলে রুবেলের বলে আউট হন আফিফ হোসেন ধ্রæব। অন্যদিকে ৬ বলে মাত্র ৬ রান সংগ্রহ করে রান আউটের শিকার হন লিটন দাস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে রায়াদ এমরিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে অলক কাপালি ফিরে গেলে রাজশাহী পড়ে যায় মহা সঙ্কটে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে জুটি বাধেন ইরফান শুকুর এবং শোয়েব মালিক। দলীয় ৮০ রানের মাথায় ২২ বল খেলে ব্যক্তিগত ১৪ রানে আউট হন শোয়েব মালিক।
এদিকে ৪২ বলে ৪৫ রানে ইরফান শুকুর আউট হলেও দারুণ জুটি গড়ে রাজশাহীকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন তিনি। শোয়েব মালিক আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরেই তার তাণ্ডব শুরু। এরপর ১৯তম ওভারে মেহেদি হাসান রানার ওভারে আবু জায়েদ রাহীকে সঙ্গে নিয়ে তোলেন ২৩ রান, যার মধ্যে রাসেল একাই তুলে নেন ১৭ রান। ম্যাচের শেষ ওভারে প্রয়োজন ৮ রান। শেষ ওভারে রাসেলের বিশাল ছক্কায় ৩ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী।
আপনার মতামত লিখুন :