শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে আগুন, পুড়ে গেছে যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সামগ্রী 

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৫৪ দুপুর
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ পয়সার হোমিও ডাক্তার

মুসবা তিন্নি : পাঁচ পয়সা। বই-পুস্তকে পড়লেও বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই হয়তো চোখে দেখেনি। কেননা এ পয়সা মূল্যহীন। তবে অবাক করার মতো বিষয়, পাঁচ পয়সাতেই মেলে হোমিও চিকিৎসা।

গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে নিজ চিকিৎসালয়ে রোগীদের এ সেবা দেন নুরুল ইসলাম সরকার। সেবা নিতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বিভিন্ন ধরনের রোগী।

১৯২৯ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউপির পশ্চিম কোমরনই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পাঁচ পয়সার এ চিকিৎসক। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। এরপর চাকরি করেন একটি কাপড়ের দোকানে। ১৯৬৭ সালে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে এক পুরিয়া ওষুধের দাম পাঁচ পয়সা নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন।
নুরুল ইসলাম সরকারের চিকিৎসায় মানুষ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলে চারদিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। আর তখন থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ ছুটে আসেন তার কাছে। এখন তার আসার আগেই রোগীদের ভিড় জমে চিকিৎসালয়ের সামনে।

চিকিৎসালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, নারী-পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ দাঁড়িয়ে আবার কেউ বসে আছেন। রোগীর কাছ থেকে বর্ণনা শুনে রোগ নির্ণয় করে একটি কাগজে ওষুধের নাম লিখছেন হোমিও চিকিৎসক নুরুল ইসলাম। পরে সেই কাগজ দেখে তার সহকারীরা ওষুধ তৈরি করে রোগীর হাতে দিচ্ছেন।
শহরের দক্ষিণ ধানঘড়া এলাকার খলিলুর রহমান বলেন, আমার মা গলায় ভাত আটকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে সদর হাসপাতালে নেই। তারা রংপুর মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে মাকে পাঁচ পয়সার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। তার দেয়া দুই পুরিয়া ওষুধ খেয়েই মা সুস্থ হন।

শহরের সুখনগর এলাকার সুমন মিয়া বলেন, কোনো রোগে আক্রান্ত হলেই বাবা পাঁচ পয়সার ডাক্তারের কাছে নিতেন। ছোটবেলা থেকেই আমি ও আমার ভাই-বোনেরা তার চিকিৎসা নিয়েছি। বর্তমানে আমার সন্তানকেও তার কাছে নিয়ে যাই। তার চিকিৎসায় আমরা সন্তুষ্ট।

চিকিৎসালয়ের সহকারী রনি মিয়া বলেন, চেম্বার খোলার আগেই জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও ফুলছড়ি থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা আসেন। তার চিকিৎসার সুনাম এখন পুরো জেলাজুড়ে। এভাবে প্রতিদিনই প্রায় চার-পাঁচশ রোগীর চিকিৎসা দেন পাঁচ পয়সার ডাক্তার। এতে ওষুধের দাম ছাড়া কোনো ফি নেন না তিনি।

তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর সোয়া একটা ও বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়।

নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও নিজের চেষ্টা ও বই পড়ে চিকিৎসক হয়েছি। দীর্ঘ ১৫ বছর রোগীদের কাছ থেকে পাঁচ পয়সা করে নিয়েছি। পরে এক-দুই টাকা করে নিতাম। বর্তমানে রোগ ভেদে ওষুধের দাম নেয়া হয় পাঁচ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়