সুজন কৈরী: রাজধানীর বিমান বন্দর গোলচত্তর এলাকা থেকে রোববার ১৬ হাজার ৫০ পিস ইয়াবাসহ মো. হেলাল উদ্দিন (২৯) নামের এক জনকে আটক করেছে র্যাব-১। এছাড়া পৃথক অভিযানে লালবাগ এলাকা থেকে ৪৩০ পিস ইয়াবাসহ ২ জনকে আটক করেছে র্যাব-১০।
রোববার র্যাব-১ জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, একটি মাদক কারবারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিক্রি করছে। চক্রটি কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান রাজধানীতে আনছে- এমন তথ্যে নজরদারী বৃদ্ধি এবং তাদের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে বিমানবন্দর গোলচত্তর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় হেলালকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ইয়াবা ছাড়াও ২ টি মোবাইল ফোনসেট, নগদ ২ হাজার ৯০ টাকা উদ্ধার এবং মাদক পরিবহণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হেলাল জানিয়েছেন, চক্রের সদস্যরা কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় নদী পথে চোরাচালানের মাধ্যমে মিায়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। পরে বিভিন্ন পরিবহণে ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে। চক্রের অন্যতম সদস্য কক্সাজারের জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। হেলাল পেশায় প্রাইভেটকার চালক। পাশাপাশি দীর্ঘ ৬ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে জব্দ ইয়াবার চালানটি প্রাইভেটকারের মধ্যে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। যা রাজধানীর জনৈক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পৌছে দেয়ার কথা ছিল। এর আগেও তিনি ১০/১২টি মাদকের চালান সরবরাহ করেছেন। চালান প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে দিতো।
এদিকে র্যাব-১০ জানিয়েছে, শনিবার ব্যাটালিয়নের সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল লালবাগের জে এন সাহা রোডে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- মো. রাকিবুল ইসলাম (৩০) ও মো. স্বাধীন (১৯)। তাদের কাছ থেকে ৪৩০ পিস ইয়াবা, ২ টি মোবাইল, এবং নগদ ২ হাজার ৫৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।