সিরাজুল ইসলাম : সেখানে বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৬ হাজার ইয়ান বা ৮৬৩ মার্কিন ডলারের কম হলে তাকে দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী ভাবা হয়। দারিদ্র নির্মূল করা চীন সরকারের অন্যতম একটি লক্ষ্য। বিবিসি
দারিদ্রের এ সংখ্যা নিয়ে একজন কর্তৃপক্ষকে অনলাইনে প্রশ্ন করে বলেন, তিনি এটা বিশ^াস করেন না। এ প্রদেশে কি কোনও বেকার লোক নেই? কোনও ভিক্ষুক নেই?
সম্পদ সমৃদ্ধ প্রদেশগুলোর একটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশ। অর্থনীতে এটি দ্বিতীয়; গুয়াংডন প্রদেশের পরই এর অবস্থান। গত বছরের শেষ দিকের উপাত্তে দেখা যায়, গত চার বছরে ২০ লাখ ৫৪ হাজার মানুষ দারিদ্র সীমা থেকে বের হয়ে এসেছে। ২০২০ সালে চীন দারিদ্রমুক্ত হতে চায়। এ প্রদেশটিও সেই পথেই হাঁটছে। দেশটিতে প্রতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হারে বাড়ছে।
চীনের অর্থনীতি আকাশ ছুঁতে চললেও দারিদ্র নির্মূল হয়নি। এমনকি দারিদ্র নির্মূল নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে। গত বছর এক ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। পাঁচ বছর ধরে সে দিনে দুই ইয়ানে জীবনযাপন করতো। এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চীনে বার্ষিক দুই হাজার ৩০০ ইয়ান বা ৩৩১ ডলার আয় হলে তাকে দারিদ্র সীমার বাইরে রাখা হয়। তবে এটা প্রদেশ থেকে প্রদেশে ভিন্ন। ২০১৭ সালে দেশটিতে দারিদ্র সীমার নিচে লোক ছিল তিন কোটি।