সানজীদা আক্তার : প্রতি বছর পৌষ মাসের এ সময় বোরো চাষে কৃষকরা ব্যস্ত থাক কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবারসহ কয়েক বছর ধরে ধানের উপযুক্ত দাম পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি বছরই লোকসান দিতে হচ্ছে। তাই এবার ধান চাষের কোনো ব্যস্ততা নেই কৃষকদের। বোরো বীজতলা প্রচুর ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নয়াদিগন্ত
সাতক্ষীরার কৃষকরা জানান, গত মৌসুমে বোরোর মণপ্রতি উৎপাদন খরচ ৯২০ টাকা হলেও তা বিক্রি হয়েছে ৫৮০ টাকা দরে। একইভাবে আমন মৌসুমেও ধানের ন্যায্যমূল্য পাইনি। এ জন্য এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
গেল বোরো মৌসুমে ফসলের ন্যায্য দাম পাননি খুলনা অঞ্চলের কৃষকরা। স্থানীয় মহাজন, বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংকের কাছে বেড়েছে তাদের ঋণের বোঝা। তাই চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের আগ্রহ হারিয়েছেন এ অঞ্চলের অনেক কৃষক। ঘূর্ণিঝড় ফণি ও বুলবুলের কারণে গত মৌসুমে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা।
বোরো ও আমনের ন্যায্যদাম না পাওয়ায় এবারো বোরো চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তারা। এছাড়া এবার পেঁয়াজের মূল্য বেশি হওয়ায় আমন চাষিরা কিছুটা সে দিকে ঝুঁকেছেন। এ দিকে কৃষকদের বোরো আবাদে আগ্রহ না থাকায় এবার খুলনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ৯০০ মেট্রিক টন বোরো বীজ অবিক্রীত রয়েছে।