শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:১১ সকাল
আপডেট : ০৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারী নির্যাতন-ধর্ষণের বিচার দ্রুতবিচার আইনে চায় মহিলা পরিষদ

বাংলা ট্রিবিউন : নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলাগুলো দ্রুতবিচার আইনে সম্পন্ন করার দাবি করেছে মহিলা পরিষদ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা.ফাওজিয়া মোসলেম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ডা.ফাওজিয়া মোসলেম বলেছেন, গত ২০১৮ সালে নারী শিশু বৃদ্ধাসহ ৩ হাজার ৯১৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ হাজার। এসব ঘটনায় শুধু নুসরাত হত্যার বিচারটিই উল্লেখ করার মতো। বাকি একটিরও সুষ্ঠু বিচার কিংবা তদন্ত আমরা দেখতে পাইনি। এর কারণ পুরনো আইনে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়া ও বিচারে দীর্ঘসূত্রতা। এধরনের ঘটনায় সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার আইনে বিচারের দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। নারীর প্রতি যারা নিপীড়ন, নির্যাতন চালায় তারা কাপুরুষ। তাদের রুখতে হলে সামাজিক দুর্নীতি রুখতে হবে। প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে।

নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যে হারে নারী নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে তাতে আমরা শঙ্কিত। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব ঘটনা বাড়ছে। নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুত বিচার আইনে করা গেলে এর আইনগত প্রতিকার কিছুটা হলেও মিলবে।

মানববন্ধনে ঢাবির সমাজকল্যাণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ঢাবি পরিবারের সদস্য হিসেবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জড়িত সবার জন্য ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা লজ্জার। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাহানা বলেন, স্বাধীন দেশে নারীও স্বাধীনভাবে চলবে এটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রে যে উন্নয়নের জোয়ার সেখানে নারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে, কিন্তু নারীর প্রতি যে সহিংসতা তা বন্ধ করা যায় নি। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা দরকার তা কিন্তু এই রাষ্ট্র সমাজ দিতে পারেনি।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদশ মহিলা পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস,লিগ্যাল অ্যাডভাকেসি অ্যান্ড লবি পরিচালক মাকসুদা আক্তার লাইলী, জনা গোস্বামী প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়