শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৩৫ সকাল
আপডেট : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়  বিদ্যুতের শহরে অন্ধকারে এক গ্রাম

তৌহিদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরকারি-বেসরকারি ১১টি ইউনিট থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রেডে । এর ফলে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে আশুগঞ্জ উপজেলাকে বলা হয়ে থাকে বিদ্যুতের শহর। কিন্তু বিদ্যুতের এই শহরে আজও অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে একটি গ্রাম। বিদ্যুতের শহরে থেকেও বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সেই গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের যেনো অন্ত নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , প্রায় শত বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া  আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠে একটি চর। আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সেই চরের নামকরণ করা হয় চরসোনারামপুর। এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষজন বসতি গড়েন চরসোনারামপুরে। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চরের এই গ্রামে মানুষ বসবাস করে আসছে।

বর্তমানে হিন্দু-মুসলমান ধর্মালম্বী মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার মানুষ বসবাস করছেন এই চরটিতে। এর মধ্যে ভোটার রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। চরের বেশির ভাগ মানুষ পেশায় জেলে। মেঘনা নদীতে মাছ ধরে সেই মাছ আশুগঞ্জ বাজারে নিয়ে বিক্রি করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। সম্প্রতি চরের বাসিন্দাদের অনেকেই আশুগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়েছেন। চরসোনারামপুর গ্রামের শিশুরাও এখন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে। তাদের জন্য চরেই রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে শিক্ষার আলো জ্বললেও যুগের পর যুগ ধরে চরের ঘরগুলো অন্ধকারে আচ্ছন্ন। এ নিয়েই এখানকার বাসিন্দাদের সব দুঃখ।

অবশ্য কয়েক বছর হলো চরে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সৌর বিদ্যুৎ নিয়েও কম ভোগান্তি নেই তাদের।

চরসোনারামপুর গ্রামের বাসিন্দা রায়মন চন্দ্র দাস জানান, ‘প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি চরসোনারামপুর গ্রামে এসে বসতি গড়েছেন। মেঘনা নদীতে নৌকা চালিয়েই তার ছয় সদস্যের পরিবার চলে। চরে আসার পর থেকে একটাই দুঃখ তাদের বিদ্যুৎ না থাকা। বারবার আশা দিলেও আজ পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধিই তাদের এই দুঃখ ঘোচাতে পারেননি। চরসোনারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়া রাণী বর্মণ জানায়, ‘দিনের বেলা খুব একটা সমস্যা না হলেও সন্ধ্যায় পড়তে বসলে কষ্ট করতে হয় তার। চার্জ না থাকার কারণে অধিকাংশ সময়ে সৌর বিদ্যুতের আলো না পেয়ে কুপি অথবা মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়তে হয় তাকে। এজন্য দ্রুত চরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার দাবি তার। শোভা রাণী নামে এক বৃদ্ধা বলেন, গরমের দিনে ঘরের ভেতরে থাকতে পারি না। তখন দিনের বেশির ভাগ সময় ঘরের বাইরে বসে থাকি। বাতাসের জন্য সারা বাড়িতে গাছপালা লাগিয়েছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আশুগঞ্জ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল হক বলেন, কোন পদ্ধতিতে চরসোনারামপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে- সেটি একটি ফ্যাক্টর ছিল। তবে ইতোমধ্যে চরসোনারামপুরসহ দেশের তিনটি চর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আমাদের বিতরণ বিভাগ থেকে প্রজেক্ট আকারে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ওই প্রজেক্ট অনুমোদন পেলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সম্পাদনা: জেরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়