রাশিদ রিয়াজ : চীন ছাড়াও মিত্রদের সঙ্গে যেমন কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মতপার্থক্য ও দরকষাকষি সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিমত ছিল এসব দেশও তার দেশের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এই কারণে তিনি এসব দেশের রফতানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকদফা শুল্ক বৃদ্ধি করলে মার্কিন পণ্য আমদানিতেও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে দেশগুলো। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল
এখন ফেডারেল রিজার্ভের ৩৩ পৃষ্ঠার এ সমীক্ষা বলছে ট্রাম্প প্রশাসনের এধরনের শুল্ক নীতি মার্কিন শিল্প প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ফেড অর্থনীতিবিদ আরন ফ্লায়েন ও জাস্টিন পিয়ার্স সমীক্ষায় বলছেন, গত বছর থেকে যে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে তা উৎপাদনশীল খাতে উৎপাদনকে হ্রাস করেছে এবং মূল্যস্ফীতি ঘটতে শুরু করেছে। তবে কিছু শিল্প শুল্ক বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতায় আরো মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে উপকৃত হলেও চীন ও মার্কিন মিত্রদেশগুলোর পাল্টা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধিতে আদতেই উৎপাদনশীল খাতে কর্মতৎপরতা বাড়েনি।
সমীক্ষা আরো বলছে পাল্টাপাল্টি শুল্ক বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালুমিনিয়াম, লৌহ এবং ইস্পাত শিল্প, গাড়ি শিল্প, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, চামড়াজাত পণ্য, কীটনাশক, অডিও এবং ভিডিও যন্ত্রাংশ ও গৃহস্থালী ব্যবহার্য পণ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে এমন সব কোম্পানির পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি আরোপ করে বসে যারা ইউরোপ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে কিংবা চীনে যৌথ উদ্যোগে পণ্য তৈরি করে। একই সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মার্কিন বাণিজ্য স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ দায়িত্ব পালন না করারও অভিযোগ আনেন ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন ওয়াশিংটন চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে এক উল্লেখযোগ্য মীমাংসায় পৌঁছেছেন। যদিও বিভিন্ন দেশের সরকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য দ্বন্দ্বই বিশ^ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে ধীর করেছে।