সমীরণ রায়: রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি।১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি।সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।আর যদি আসেও সেটা পাক বাহিনীর ভুল।যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখবো।
তিনি বলেন. একই নাম অনেকের থাকতে পারে।যারা চিহ্নিত মুক্তিযোদ্ধা তারা কেন তালিকাভুক্ত হবেন? সরকারি নথিতে যাদের তালিকা পাওয়া গেছে তাদের নামই বলা হয়েছে, নতুন করে কাউকে নথিভুক্ত করা হয়নি।একই নাম দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হওয়ার পরও রাজাকারের তালিকাভুক্ত হওয়ায় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার স্বজন ও সহযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এটিকে চরম অসম্মান অভিহিত করে তারা বলছেন, গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধারা কীসের ভিত্তিতে এই তালিকাভুক্ত হলেন, সেই জবাবদিহি সরকারকে করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষকরাও বিস্ময় প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।কেউ কেউ এই তালিকা বাতিলের দাবি তুলেছেন।