শিরোনাম
◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৪:৩৫ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৪:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চুরি করে ক্রিকেট খেলা হয়না, বিসিবির বিরুদ্ধে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটারদের ক্ষোভ

রাকিব উদ্দীন : সম্প্রতি বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আম্পায়ারদের ঘিরে ধরেছেন ক্রিকেটাররা। চলছে কথার তোপ। কেউ বলছেন, ‘চুরি করতে আসিনি এখানে।’ কেউ বলছেন, ‘চুরি করে ক্রিকেট খেলা হয় না।’ আম্পায়ারদের দিকে দেখিয়ে চিৎকার করে কেউ কেউ বলছেন ‘চোর, চোর, চোর।’ আম্পায়ারদের একজন জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ক্রিকেটারদের ক্ষোভের কাছে টিকতে পারলেন না। তাদের মাঠের বাইরে নিয়ে গেলেন ম্যাচ রেফারি।

ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘এভাবেই ধ্বংস হচ্ছে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট।’

ঘটনা রোববার ঢাকা তৃতীয় বিভাগ লিগে কামরাঙ্গীর চর স্পোর্টিং ক্লাব ও ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্সের ম্যাচের। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচটির পর রয়্যাল ক্রিকেটার্সের ক্রিকেটারদের ওই ক্ষোভের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভিডিওর শেষ দিকে দেখা যায়, রয়্যাল ক্রিকেটার্সের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ রুবেল সামনে এগিয়ে ম্যাচ রেফারিকে বলছেন, ‘এই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেগুলির জীবন নষ্ট করবেন না।’

এ কর্মকর্তা ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে জানান তাদের ক্ষোভের কথা। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের শুরু থেকে আমাদের বিপক্ষে একের পর এক বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আম্পায়াররা। তবু আমরা ক্রিকেটের স্বার্থে খেলা চালিয়ে গেছি। লড়াই করেছি। জয়ের মতো অবস্থাও সৃষ্টি করেছি। কিন্তু আম্পায়ারদের জন্য পারিনি। এভাবে খেলা যায় না।আমাদের প্রতিপক্ষ ক্লাব বিসিবি কর্তাদের আশীর্বাদপুষ্ট। তারা নিজেরাই মিডিয়ায় বলেছেন, তাদের ছায়ায় অনেক ক্লাব। এই ক্লাবও তাদেরই। আম্পায়ারদের উদ্দেশ্য কি ছিল, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!’

আম্পায়ারের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ওদের এক ওপেনার ৫১ করেছে, সে ২০ বা ২২ রানে আউট ছিল। নিশ্চিত স্টাম্পিং, ক্রিজের বাইরে ছিল অনেক। আমাদের ছেলেরা আম্পায়ারকে দেখিয়েছে যে বাইরে, তবু আম্পায়ার বলেছে যে ব্যাটসম্যান ভেতরেই। আমাদের এক ওপেনার শুরুতেই তিন বাউন্ডারি মেরেছিল। বল পায়ে লাগা মাত্র তাকে আউট দিয়েছে, যদিও আউট ছিল না। ফিল্ডারদের আবেদন শুরুই হয়নি, তার আগেই আউট!”

‘টুকটাক আরও ছিল ম্যাচ জুড়েই। সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে শেষ দিকে। এই অবস্থার মধ্যেও আমরা জয়ের পথে ছিলাম। আমাদের বড় জুটি ভাঙল, এরপর আমাদের দুই ব্যাটসম্যানকে জঘন্য দুটি সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ দিয়ে দিলো। তার পরও আমাদের একজন একাই টেনে নিচ্ছিল দলকে (জাহিদ হাসান, ৬০ রান), বল পায়ে লাগতেই দিচ্ছিল না। শেষে ওকেও রান আউট দিয়ে দিলো। অথচ সে ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছিল বেশ আগেই।’

আম্পায়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘নিচের দিকের লিগের সবাই জানে, আম্পায়ার সাইদুর কোন ধরনের আম্পায়ার। অনেক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আরেক আম্পায়ার জুয়েল (জহিরুল ইসলাম) তো পূর্বাঞ্চল ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে লিগ আয়োজকদের সভায় উপস্থিত থেকেছে। ক্লাবের প্রতিনিধি আম্পায়ারের দায়িত্ব পায়, কখনও শুনেছেন? তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করাই কঠিন।’

রুবেল জানালেন, ম্যাচ শেষে নিজেদের আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনে এই সবকিছু তারা উল্লেখ করেছেন। ম্যাচ রেফারিকেও জানিয়েছেন তারা। কিন্তু প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেছেন কিনা, তা জানতে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ফোন ধরেননি বিসিবির প্রধান নির্বাহী ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের কেউ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়