আসিফুজ্জামান পৃথিল : উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় এই আক্রমণের খবর নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েব এরদোগান। তিনি বলেছেন সিরিয়ান শরণার্থীদের বসবাসের জন্য কুর্দি ‘সন্ত্রাসীদের’ সরিয়ে একটি সেফ জোন তৈরী করা এই হামলার লক্ষ্য।-বিবিসি
কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স-এসডিপি জানিয়েছে, তুর্কি যুদ্ধবিমানগুলো বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।কিছুদিন আগেই তুরস্ক হামলার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
সমালোচকরা বলছেন, এটি ছিলো সিরিয়ায় আক্রমণ করতে তুরস্ককে একটি সবুজ সঙ্কেত। সেনা প্রত্যাহারের আগে এরদোগানের সঙ্গেও কথা বলে নেন ট্রাম্প। এদিকে এ ঘটনায় বড় ধরণের শঙ্কা প্রকাশ করছেন কুর্দিরা।তারা বলছেন, এই ঘটনার কারণে পুরো একটি জাতিগোষ্ঠী ধ্বংস হয়ে যাবে।কুর্দি যোদ্ধারা আইএস বিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে লড়াই করেছে। তুরস্কের সঙ্গে কুর্দিদের ঐতিহাসিক শত্রুতা রয়েছে।
টুইটারে এক বার্তার মাধ্যমে হামলা শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন এরদোগান।তিনি বলেন, ‘এই অভিযান একটি সন্ত্রাসী করিডোর বন্ধ বরে আমাদের দক্ষিণ সীমান্তকে নিরাপদ করতে পরিচালিত হচ্ছে।এই সামরিক অভিযান এই এলাকায় শান্তি আনবে। আমরা সিরিয়ার ভৌগলিক মানচিত্র অক্ষুন্ন রাখবো এবং স্থানীয় জনসাধারণকে সন্ত্রাসের করাল থাবা থেকে মুক্ত করবো।’ তুরস্কে ৩৬ লাখের মতো সিরিয়ান শরণার্থী আছে। কুর্দিদের নিজেদের বাসিভূমি থেকে তাড়িয়ে শরণার্থীদের জন্য সেফ জোন করতে চায় তুরস্ক।
সীমান্ত শহর রাস আল-আইনের কাছে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরনের আওয়াজ পাওয়া গেছে।এরদোগানের হামলার ঘোষণার পর এসডিএফ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য আইএস বিরোধী দেশকে এই এলাকায় একটি নো ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা করে নিরিহ মানুষের প্রাণ বাচাতে আহ্বান জানিয়েছে।