সানমুন নিশাত: কিডনির প্রধান কাজ হলো দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেয়া, ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গকে সুস্থ রাখার উপকারী খাদ্যাভ্যাস জরুরি। বার্তা২৪
চলুন আজ এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নেই-
১.ক্যানবেরি জুস-ক্যানবেরিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম।এই দুটি উপাদান কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত ক্যানবেরি জুস খেলে মূত্রথলির সংক্রমণ কমে যায়। সেই সঙ্গে এটি কিডনিও পরিষ্কার করে।
২.লেবুর শরবত-লেবুতে যে এসিড উপাদান আছে তা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে বেশ কার্যকর।প্রতিদিন লেবুর শরবত খেলে কিডনি পরিষ্কার হয়।লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।
৩. হলুদ- এলার্জি থেকে ত্বককে রক্ষা করা ত্বককে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কিডনির রক্ষাও করে হলুদ। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে কিডনিও পরিষ্কার হয়। এতে থাকা কারকুমিনে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান কিডনি রোগ ও পাথর জমা হওয়া রোধ করে।
৪. আপেল-প্রতিদিন একটা আপেল খান আর ডাক্তারকে দূরে রাখুন।কথাটা কিডনির ক্ষেত্রেও সত্য। আপেল উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি আছে যা বাজে কোলেস্টেরল দূর করে হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৫. রসুন- রসুন ইনফ্লেমেটোরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে।সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া খুব ভালো, এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভাল রাখে।
৬. ড্যান্ডেলিয়ন- এটি হলো একধরনের বন্য হলুদ ফুলের গাছ। এর মূল এবং পাতা শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে হয়। প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এ ছাড়া পেটে স্ফীতি কমায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনিকে পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. অলিভ অয়েল- একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিনের রান্নায় অন্যান্য তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে অলিক এসিড, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড আছে যা কিডনি সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।