শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:১৫ রাত
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সার ও বীজ বিতরণে এখন ছোটখাটো অনিয়ম-দুর্নীতি হতে পারে, বললেন কৃষিমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান সম্রাট : কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে সার ও বীজ বিতরণে মুনাফার লোভে কিছু ব্যবসায়ী এখন ছোটখাটো অনিয়ম-দুর্নীতি করতে পারে, তবে সারা দেশে স্বাভাবিকভাবেই সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন, ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন সারা পৃথিবীতে বিস্ময়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবু জাহির। জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির দুই মেয়াদে সার নিয়ে অমানবিক দুর্নীতি হয়েছে। সারের দাবী জানালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সার নিয়ে বিএনপির অস্বাভাবিক দুর্নীতির কারণে ফসল উৎপাদন কমে গিয়েছিলো। ৯৫ সালে সারের দাবী জানালে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করা হয়। এরপর আবার ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে তাদের ওই পাঁচ বছররই সারের সঙ্কট ছিলো। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৭ জানুয়ারি প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই তৎকালিন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সারের দাম কমানোর এজেন্ডা এনেছিলেন। তখন সারের দাম কমানো হয়। বিএনপির আমলে ৭২ টাকার টিএসপি কমিয়ে ২২ টাকা, ৯০ টাকার ডিএসপি কমিয়ে ২৫ টাকা করা হয়। ৬০ টাকার পটাশ কমিয়ে ১৫ টাকা করা হয়। এখনও সেই ১৫ টাকায়ই সার বিক্রি হচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলের মতো বর্তমান সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষককে মেম্বারের কাছে, ডিলারের কাছে দৌঁড়াতে হয় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যারা সার বিতরণের সঙ্গে জড়িত, তারা যথেষ্ট সতর্ক আছে। অভিযোগ উঠেছে, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী প্রতারণা করে। আমি বলবো প্রতারণা অনেক কমে গেছে। যার ফলে কৃষক ঠিক মতো সার ও বীজ পাচ্ছে, উৎপাদন বেড়েছে। গত মৌসুমে আমাদের ধান উৎপাদনের টার্গেট ছিলো ১ কোটি ৪০ লাখ। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ। ছোটখাটো অনিয়ম দুনীতি হতে পারে, ব্যবসায়িরা মুনাফার লোভে এটা করতে পারে। তবে সারা দেশে স্বাভাবিকভাবেই সার বীজ বিতরণে হচ্ছে। যার ফলে উৎপাদন বেড়েছে।

সরকারি দলের সদস্য আবদুল মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধান কাটা এবং ধান লাগানের জন্য মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার উৎস্য মূল্য ভর্তুকি দেবে। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই গেজেট প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, এখন উভয় সঙ্কট হয়ে গেছে। আগে উৎপাদন কম হলে দুর্ভিক্ষ হতো, এখন উৎপাদন বেশি হওয়ায় তা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এবার প্রায় ৪ লাখ টন ধান সরাসরি কেনা হয়েছে। চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশে টিম যাবে, তারা দেখবেন সত্যিকারের চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে কি না। যদি না হয় তাহলে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়