নিজস্ব প্রতিবেদক : দশই মহররম কারবালার মরু প্রন্তরে শহিদদের মাঝে সেদিন ইমাম হোসেইন (রা.) ও তার সফরসঙ্গী ৭২জনের মাঝে ছয় মাসের শিশু আলী আসগরও ছিলেন।
ইয়াজিদ বাহিনীর তিনদিন পানি-অবরোধের কারণে শিশু আসগর যখন তৃষ্ণায় ছটফট করছিলেন তখন ইমাম হুসাইন (রা.) তাকে কোলে নিয়ে তাঁর জন্য পানি চান। পানির পরিবর্তে পাষাণ-হৃদয় ইয়াজিদ সেনাদের একজন তিন শাখা-বিশিষ্ট একটি তীর নিক্ষেপ করলে তা আসগরের নরম গলা ভেদ করে। এই পাষণ্ড ঘাতকের নাম ছিল হারমালা বিন কাহিল।
এ ঘটনার কয়েক বছর পর বীর মুখতার হারমালাকে হত্যা করেছিলেন দূর থেকে গলায় ছুরি নিক্ষেপ করে যা এই পাষণ্ডের গলা বিদ্ধ করেছিল।
প্রতি বছর মহররমের সময় বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান হযরত আলী আসগর (রা.)’র শাহাদত দিবস পালন করেন শোক মিছিলে শূন্য ও রক্তমাখা দোলনা দুলিয়ে। এদিন ইরান, পাকিস্তান, ভারত এবং ইরাকসহ বহু দেশে মহররমের প্রথম শুক্রবারে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক আলী আসগর দিবস।