শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:২৮ দুপুর
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অন্য গ্রহে ৮ হাজার কিমি বেগে বাতাস বয়, হয় অ্যাসিড বৃষ্টি

মাজহারুল ইসলাম : একটা সময় ছিলো যখন পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহের আবহাওয়া সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গ্রহের আবহাওয়া পর্যালোচনা করে বুঝতে পারেন, কোনো কোনো গ্রহে ঘণ্টায় ৮হাজার কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। আবার কোনো কোনো গ্রহের তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে, সেখানে অনায়াসেই গলে যেতে পারে সিসা। বিবিসি, ইত্তেফাক

যেমন শুক্র, পৃথিবীর কাছের গ্রহ হিসেবে পরিচিত। সৌরজগতের মধ্যে বসবাসের সবচেয়ে অনুপযোগী এই শুক্র গ্রহ। এখানকার বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব অনেক বেশি এবং এটি কার্বনডাই-অক্সাইড দ্বারা গঠিত। এই গ্রহে বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর চেয়ে ৯০ গুণ বেশি। এখানকার বায়ুমণ্ডল সূর্যের বিকিরণকে আটকে রাখে। যার অর্থ হচ্ছে, এ গ্রহের তাপমাত্রা ৪৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে। এখানে পা রাখামাত্রই মানুষ ভয়ানক পরিবেশের মুখোমুখি হবে। সালফিউরিক অ্যাসিড শুক্র গ্রহে বৃষ্টি হিসেবে ঝরে। যা পড়ামাত্রই শরীর কিংবা পোশাক পুড়ে যাবে। এ কারণে এখানও শুক্র গ্রহে কেউ যেতে পারেনি।

আমাদের সৌরজগতের অন্যদিকে ইউরেনাস এবং নেপচুন গ্রহ। নেপচুন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত। এখানে ঠান্ডায় জমে থাকা মিথেন গ্যাসের মেঘ রয়েছে। সৌরজগতের মধ্যে নেপচুনের বাতাস সবচেয়ে বিধ্বংসী। কারণ এখানকার উপরিভাগ অনেকটা সমতল। ফলে মিথেন গ্যাসযুক্ত বাতাসের গতিকে থামানোর কোনো উপায় নেই। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪’শ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। নেপচুনে গড় তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার মানে, নেপচুনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডায় জমে যাবে যে কেউ।

সৌরজগতের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করেছেন ব্রিটেনের ওয়ার উইক ইউনিভার্সিটির গবেষক টম লুডেন। তার কাজ অন্য গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডলের অবস্থা সম্পর্কে জানা। সম্প্রতি তিনি সৌরজগতের এইচডি ১৮৯৭৩৩বি গ্রহ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন। লুডেন বলেন, এ গ্রহটি নক্ষত্র দ্বারা ঢেকে আছে। গাঢ়নীল এ গ্রহটি ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এটি চরম আবহাওয়ার জন্য বিশেষ পরিচিত। তার মতে, এই গ্রহটি দেখতে সুন্দর হতে পারে কিন্তু এর আবহাওয়া খুবই বিধ্বংসী। এ গ্রহে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ হাজার কিলোমিটার এবং এটি পৃথিবীর তুলনায় ২০ গুণ বেশি সূর্যের কাছাকাছি। সেখানে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ১ হাজার ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মানে গলিত লাভার মতো গরম। এরকম তাপমাত্রায় আমাদের গ্রহের পাথর, তরল বা বাষ্প হয়ে গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সমান আরও গ্রহ আছে যেগুলো এমডর্ফ অথবা রেডডর্ফ নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। এগুলো ছায়াপথের সবচেয়ে পরিচিত নক্ষত্র। যা ছায়ার ভেতর লুকিয়ে থাকে। এগুলোর আলো এতো কম যে, পৃথিবী থেকে খালি চোখে ওসব দেখা যায় না।

এমআই/এসবি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়