শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নব্য জেএমবির টার্গেটে পুলিশ, বললেন মনিরুল

ইসমাঈল ইমু : নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতারা অধিকাংশই গ্রেপ্তার হয়েছে, না-হলে পুলিশি অভিযানকালে নিহত হয়েছে অথবা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হয়েছে। এই সকল ক্ষোভের কারণেই পুলিশেকে তারা টার্গেট করছে বলে মনে করেন ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এর প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম। সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে রাজধানীর দুটি পুলিশ বক্সের সামনে বোমা রাখা হয়েছিলো সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। সর্বশেষে সাইন্সল্যাবের ঘটনা থেকে এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য উপাত্ত বা ইভেস্টিগেশনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুলিশই মূলত টার্গেট। পুলিশকে টার্গেট করার পিছনে নানা ধরনের ইকুয়েশন রয়েছে, প্রথমত এর আগের ঘটনাগুলো সন্ত্রাসী হামলা বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। আমরা বিগত দিনে অর্থাৎ যদি নিকট অতীত থেকে শুরু করি তাহলে ২০১৩ সাল ১৪,১৫ তে দেখেছি এক ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে এবং বিচারের দাবিতে যখন গণজাগরন মঞ্চের উত্থান হয়।

তখন দেখলাম ব্লগার হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে এবং ব্লগার, অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট মানেই নাস্তিক এইরকম একটা আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেশবাসীকে দাড় করে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধের সাথে যারা জড়িত ছিলো সেই দলই কিন্তু বেনিফিসিয়ারী। গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলনটি শেষ পর্যন্ত একেবারে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপট থেকে আমরা দেখেছি গণজাগরণ মঞ্চের পরেও এই জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত ছিলো এবং একটা পর্যায়ে হলি আর্টিসানের ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় শুধুমাত্র জামায়াতুল মুজাহিদিনের মতো একটি অংশ যারা নব্য জেএমবি হিসেবেই পরবর্তীতে অর্থাৎ হলি আর্টিসানের ঘটনা এবং তার পূর্ববর্তী কিছু ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো।

তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালের পরেও যারা জড়িত হচ্ছে এদের অনলাইন এ্যাকটিভিস্টাই বেশি। কারণ হলি আর্টিসানের পরে তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠেছিলো, তাতে সাবেক শিবির ছাড়াও আরও কিছু তরুণরা যারা মিসগাইডেট হয়ে যোগদান করেছিলো। যারা বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে কিন্তু পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি এদের অনলাইন প্রচারণা। তাদের সাংগঠনিক প্রচারণা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে অনলাইন প্রচারণাটা বেশি হয়েছে।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার যখন শুরু হয় তখন তারা যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো, সেটা প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা দেখেছে পুলিশকে। অর্থাৎ তাদের বিশৃঙ্খলা তৈরি থেকে নৈরাজ্য যাতে তৈরি করতে না পারে সেটি প্রতিহত করেছে পুলিশ। আমরা বুঝতে পারছি এই সংগঠনের নামে যারা চলছে, নব্য জেএমবির এদের অধিকাংশই সাবেক ছাত্রশিবির বা এখনো ছাত্রশিবির থেকে পদত্যাগ করে এসেছে এরকমটি নয়। সেইদিক থেকে পুলিশের প্রতি তাদের সাংগঠনিক যে ক্ষোভ ছিল, সেটাকে এখানেও তারা লাগাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়