শিরোনাম
◈ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা ◈ নারায়ণগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার ◈ রাজধানীতে যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না ◈ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড: ২৬১ তাড়া করে জিতল পাঞ্জাব ◈ আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  ◈ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ◈ খিলগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু ◈ ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ চুয়েট: সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ফের আন্দোলনের ডাক শিক্ষার্থীদের  ◈ দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান  ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:১৯ রাত
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিজেপি সরকার ভারতের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে ক্রমাগত স্পষ্ট করে তুলছে, বললেন কমরেড খালেকুজ্জামান

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান রবিবার সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ভারতের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে ক্রমাগত স্পষ্ট করে তুলছে, পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তারই অংশ হিসেবে আসামের নাগরিক তালিকা তৈরির উদ্যোগ। এতদিন প্রচার করেছে ৪০ লক্ষাধিক বাঙালি মুসলমান বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসামে অনুপ্রবেশ করেছে। ফলে নাগরিক তালিকা করে তাদের ফেরৎ পাঠাবে। এ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আসামে দীর্ঘদিনের ‘আলী, কুলি, বঙ্গাল খেদাও’ (মুসলিম, বিহারী ও হিন্দু বাঙ্গালী) শ্লোগানে সংগঠিত হলেও বিজেপি সরকার তাকে নতুন সংকটের আবর্তে নিক্ষেপ করছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় সংকর সম্প্রতি এসে বলে গেছেন যে, এটা তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে বাংলাদেশের দুঃচিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখলাম ভারত সরকারের সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়কে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের কাছে এটা পরিষ্কার যে, ভারত বন্ধুত্বের কথা বলে বাংলাদেশের কাছ থেকে শুধু সুবিধাই নিয়েছে, বাংলাদেশকে তিস্তার পানিসহ কিছুই দেয়নি। ফলে ভারতের আশ্বাসে বিশ্বাস করার কিছু নেই।

বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, আসামের এনআরসি-তে যারা বাদ পড়েছেন তারা যদি আগামী দিনেও ফরেনার্স ট্রাইবুনাল ও হাইকোর্ট-সুপ্রীম কোর্টে অযাচিত হয়রানির পরও প্রমাণ করতে না পারে তাহলে তাদের কি হবে? তাছাড়া যারা তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাদের অধিকাংশই দরিদ্র জনসাধারণ। বলা হয়েছে এফটি এবং আদালত করতে প্রতি জনের প্রথমে ২০ হাজার পরে ১৯ হাজার রুপি লাগবে। ফলে অসহায় জনগণ এমনিতে নিঃস্ব - তারা আরো নিঃস্বতর হবে। তা ছাড়া তালিকায় নাম না ওঠাদের এখনই নানা হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নেয়া হচ্ছে। ফলে ভীত হয়ে অনেকে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। যেমনি মায়ানমারের সেনা বাহিনীর অত্যাচারে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।

বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের প্রতি অনুগত না থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখনই আসামের এন আর সি বিষয়ে সতর্ক থাকা সীমান্তে বিজিবি’র নজরদারি জোরদার করা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর জোর দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়