শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:৪৫ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুতুপালং না গেলে আপনি কখনোই দেখতে পাবেন না রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকদের সুকঠিন জীবনযাপন

অনির্বাণ আরিফ : কুতুপালং আপনার যাওয়া উচিত। কুতুপালং না গেলে আপনি কখনোই দেখতে পাবেন না রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকদের সুকঠিন জীবনযাপন। নিশ্চয়তাবিহীন জনগোষ্ঠীর বেঁচে থাকার তীব্র সংগ্রাম। উদ্বাস্তু মানুষের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করার গল্প। সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার গোড়াপত্তনের পূর্বে মানুষের জীবনযাপন ছিলো সহজ, সরল। কিন্তু সমাজ মানুষকে সংঘবদ্ধ করেছে। রাষ্ট্র মানুষকে নাগরিক সুবিধা দিয়েছে। সেজন্য মানুষ স্বভাবতই সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভেতর থাকতে চায়। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র ছিলো, নাগরিকত্ব ছিলো না। এখন তাদের কোনোটাই নেই। তাদের জোর করে রাষ্ট্রচ্যুত করা হয়েছে।

তার পূর্বে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নাগরিক সুবিধা, রাষ্ট্রীয় আইডেন্টিটি কোনোটাই না দিয়ে অনেকটা অমানুষ কিংবা না-মানুষ বানিয়ে রাখা হয়েছিলো। আর এ অমানুষ বা না-মানুষের অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের জান্তা সরকার খুব সহজেই জিও-পলিটিক্সকে কাজে লাগিয়ে এ বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রচ্যুত করতে পেরেছে। মানুষ উগ্র, অসভ্য বা বর্বর হয়ে জন্মায় না। সমাজ, সামাজিক অবস্থা, পরিবেশ, প্রতিবেশ মানুষকে উগ্র, অসভ্য এবং বর্বর করে তোলে। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে।
বাংলাদেশ একটি ছোট আয়তনের এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ। এখানে আঠারো কোটি মানুষ কোনোমতে গাদাগাদি করে থাকে। এ দেশে কোনোভাবেই রোহিঙ্গাদের রাখা সম্ভব নয়। প্রথমে এদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে মানে এই নয় যে, তাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রেখে দিতে হবে। আজ এনজিও সাপোর্ট দিচ্ছে। কাল কমিয়ে দেবে। একসময় বলবে এটা সরকারের কাজ, আমাদের নয়। আজ রোহিঙ্গাদের যে হারে জন্মহার বাড়ছে কাল তা হবে জনবিস্ফোরণ। কিছুদিন পরই ঘটবে মানবিক বিপর্যয়। তারপর সব সমস্যার জন্য পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশকেই দায়ী করবে।

সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতা, জিও-পলিটিক্যাল ইউটার্ন বোঝার ব্যর্থতা, পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে দূরত্ব, পরাশক্তিগুলোর পারস্পরিক কোল্ড ওয়ার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ঘাড়ে বসে থাকার অবস্থা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ আয়তনে বড় হলে মানবিকবোধ থেকে আমরা হয়তো বলতাম তাদের এখানেই একটি সুরক্ষিত অঞ্চল ছেড়ে দেয়া হোক। কারণ সবাই আমরা মানুষ। বাঁচার অধিকার তাদেরও আছে। কিন্তু এখন কী আমাদের এমন চিন্তা করা আদৌ সম্ভব? কোনোভাবেই নয়। রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বশক্তি এবং জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশ ভয়াবহ সংকট এবং মানবিক দুর্যোগে পড়বে। সেটা আজ বা কাল। সুতরাং আজই ভাবা হোক রোহিঙ্গা বিষয়ে আমরা কী করবো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়