শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাড়ে ৭ মাসেই ১৯ বছরের রেকর্ড ভাঙলো ডেঙ্গু

খালিদ আহমেদ : সরকারি পরিসংখ্যান মতে, বিগত ১৯ বছরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ১৭৬ জন। অথচ চলতি বছরে শনিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। চলতি আগস্ট মাসের ১৭ দিনেই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ হাজার রোগী। আগামী দুই মাস ডেঙ্গুর ভরা মৌসুমে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। শনিবার ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেসরকারি হিসাবে দাঁড়াল ১৩৬ জনে। সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা অবশ্য মাত্র ৪০। সমকাল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে ২০০০ সালে প্রথমবার ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন আক্রান্ত এবং ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। তখন ঢাকাকেন্দ্রিক ছিল এ রোগটি। এরপর প্রতিবছরই কমবেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও এবারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি কখনও হয়নি। ঢাকাকেন্দ্রিক এ রোগটি এবার বিভাগ, জেলা, উপজেলা হয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গুর প্রকোপের পর সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। এর ফলে পরের বছর ২০০১ সালে আক্রান্তের সংখ্যা কমে ২ হাজার ৪৩০ জনে দাঁড়ায়। মৃত্যু হয় ৪৪ জনের। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০০২ সালে ৬ হাজার ২৩২ জন আক্রান্ত ও ৫৮ জনের মৃত্যু, ২০০৩ সালে ৪৮৬ জন আক্রান্ত ও ১০ জনের মৃত্যু, ২০০৪ সালে ৩ হাজার ৪৩৪ জন আক্রান্ত ও ১৩ জনের মৃত্যু, ২০০৫ সালে ১ হাজার ৪৮ জন আক্রান্ত ও ৪ জনের মৃত্যু, ২০০৬ সালে ২ হাজার ২০০ জন আক্রান্ত ও ১১ জনের মৃত্যু হয়।

এরপর ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে ৪৬৬, ১ হাজার ১৫৩, ৪৭৪, ৪০৯ এবং ৩৭৫ জন আক্রান্ত হন। এই পাঁচ বছরে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। তবে ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫৯ আক্রান্ত ও ৬ জনেরমৃত্যু, ৬৭১ জন আক্রান্ত ও ১ জনের মৃত্যু, ১ হাজার ৭৪৯ জন আক্রান্ত ও ২ জনের মৃত্যু, ৩ হাজার ১৬২ জন আক্রান্ত ও ৬ জনের মৃত্যু, ৬ হাজার ৬০ জন আক্রান্ত ও ১৪ জনের মৃত্যু, ২ হাজার ৭৬৯ জন আক্রান্ত ও ৮ জনের মৃত্যু এবং ১০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ হিসেবে গত ১৯ বছরে ৫০ হাজার ১৭৬ জন আক্রান্ত এবং ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু চলতি বছর এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৭৬ জন।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগটি সম্পর্কে সর্বপ্রথম ২০০০ সালে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। তখন আসলে চিকিৎসকরাও বুঝতে পারতেন না কীভাবে এর চিকিৎসা দিতে হবে। তখন এটিকে 'ঢাকা ফিভার' হিসেবে বলা হতো। কিন্তু ব্যবস্থাপনার উন্নতি হওয়ার পর গাইডলাইন তৈরি করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা সে অনুযায়ী চিকিৎসাও দিয়েছেন। এরপরই কিন্তু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে এসেছিল। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে এই রোগতত্ত্ববিদ বলেন, এই ডেঙ্গু তো একদিনে হয়নি। অন্য জেলায় যে ডেঙ্গু আছে, তা আগের বিভিন্ন গবেষণায় এসেছে। ডেঙ্গু আগেই ছিল, এখন হয়তো গ্রামে কিছুটা বেড়েছে। আবার ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে গিয়েও কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুর এই বিস্তার একদিনে হয়নি। ধাপে ধাপে বিস্তার ঘটিয়ে এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, 'কয়েকদিন ধরে গ্রামে একটু বাড়লেও ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।' সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়