নিজস্ব প্রতিবেদক : ফাইনালের দল নিয়ে হঠাৎ নাটকীয়তা হলো অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে। ফাইনালে উঠলেও খেলা হয়নি ঠাকুরগাঁও জেলার। দলের কিছু খেলোয়াড়ের তৃতীয়বার খেলছে এমন অভিযোগ আনে ময়মনসিংহ। যার কারণে শেষ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের পরিবর্তে ফাইনালে খেলে ময়মনসিংহ। যদিও টুর্নামেন্ট সেরা হতে পারেনি দলটি। টাইব্রেকারে ময়মনিসংহকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে রংপুর জেলার কিশোরীরা।
শিরোপা জয়ের উৎসব ছাপিয়ে গতকাল শুক্রবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে চোখে পড়লো কিশোরীদের কান্না। শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে ফাইনালে উঠেও বাদ পড়লো ঠাকুরগাঁও জেলা। আর সেমিফাইনালে তাদের কাছে হেরে যাওয়া ময়মনসিংহ ফাইনালে খেললো রংপুর জেলার বিরুদ্ধে। কিন্তু মাঠে নামার আাগেও ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়েরা জানতো যে তারা ফাইনাল খেলছে। তাই তাদের কান্না থামাতে পারেনি কেউ।
কিন্তু কেন এমন চিত্র? তাদের বিপক্ষে অভিযোগ দলের বেশ ক'জন খেলোয়াড় তৃতীয়বারের মত খেলছেন টুর্নামেন্টে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী একজন ফুটবলার দুইবারের বেশি খেলতে পারবেন না। আর তাতেই ফাইনাল থেকে ঠাকুরগাঁওকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত। তবে বাফুফের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ ঠাকুরগাঁও।
ঠাকুরগাঁও জেলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তাজুল ইসলাম বলেন, আমাকে হঠাৎ নোটিশ করা হয়েছে যে ফাইনাল থেকে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ফুটবলের আইন মেনেই লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে ময়মনসিংহ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ময়মনসিংহ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মুকুল বলেন, নিয়মানুযায়ী তাদেরকে প্রথম মৌখিকভাবে জানানো হয়। পরে লিখিত অভিযোগ দেই আমরা।
এদিকে, টুর্নামেন্টের ফাইনালে এমন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আর বিশৃঙ্খলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাফুফে। বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, আমরা সবকিছু বাইলজ অনুযায়ী করতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে।
সম্পাদনা : এল আর বাদল ও শিউলী আক্তার।
আপনার মতামত লিখুন :