আসিফ কাজল : দুুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সরল বিশ্বাস এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন, এ ব্যাপারে আমার উত্তর একেবারে সহজ। একটি প্রশ্নের জবাবে আমি যে উত্তর দিয়েছিলাম সেখানে দুর্নীতির কোনো শব্দ আমি উচ্চারণ করি নাই। দুর্নীতি শব্দটি কিভাবে আসলো আই হ্যাভ নো আইডিয়া। যারা এনেছেন এটা তাদের দায়, আমার দায় মোটেও নয়। আমি কোন ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত নই। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঘব বোয়ালদেরকে নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হয় উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সংস্থাটি বেশিরভাগই চুঁনোপুঁটিদের নিয়ে কাজ করছে। যাদেরকে ধরা হয় তাদের ৬০ থেকে ৭০ ভাগই চুনোপুঁটি। ছোট গাছ যত সহজে তোলা যায়, বট গাছ উপড়ানো ততটা সহজ না। বড়দের যে ধরছি না বিষয়টি এমন না। বর্তমানে সরকারি দলের প্রায় ১৫ জন মন্ত্রী-এমপি দুদকের অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছেন। এছাড়াও অন্য দুই দলের প্রায় ৩৭ জন এবং আমলাদের মধ্যে প্রায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। কমিশন থেকে তথ্য পাচার হচ্ছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেই কিভাবে যেন সেই তথ্য অপরাধীর কাছে চলে যায়। তথ্যপাচার রোধে মোবাইল ট্রাকিংসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্নীতি রোধ প্রসঙ্গে পরিবারের ভূমিকা অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজের সন্তানদের মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে, তাহলেই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব। আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা যা বিশ্বাস করি , তা করি না। আবার যা করি তা বলি না। এই জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) আয়োজিত এই সেমিনারে সংস্থাটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম , সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু এমপি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
সম্পাদনা : শাহেনুজ্জামান টিটু, ইসমাইল ইমু
আপনার মতামত লিখুন :